বিদ্যুৎ দৈনন্দিন জীবনে এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ, যা ছাড়া বৰ্তমান যান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থায় সবকিছু অচল। আমাদের চারিপাশ, বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, কল-কারখানা, যানবাহন ইত্যাদিতে এর ব্যবহার অনস্বীকার্য। এই বিদ্যুৎ নিরাপদে প্রয়োজন মাফিক ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন উপকরণ এর প্রয়োজন হয়; আর এই বিদ্যুৎ পরিমাণের জন্য বিভিন্ন পরিমাপক যন্ত্র ও উপকরণ সংযোজন করার জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি প্রয়োজন । এ অধ্যায়ে আমরা এই সকল যন্ত্রপাতির ব্যবহার, পরিমাণ ও বিভিন্ন পরীক্ষা সম্পর্কে জানতে পারব।
বিদ্যুৎ এক প্রকার শক্তি, যা খালি চোখে দেখা যায় না কিছু অনুভব করা যায়। পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহের ফলে যে শক্তি সৃষ্টি হয়। এ অদৃশ্য শক্তি যা আলো, শব্দ, গতি রূপান্তরিত শক্তি 'ইত্যাদি উৎপন্ন করে বিভিন্ন কাজ সমাধা করে। পরিবাহী এমন এক ধরনের পদার্থ (তামা, রূপা, কার্বন, সিলিকন, রাবার, মার্বেল ইত্যাদি) যার মধ্য দিয়ে এক স্থান হতে অন্য স্থানে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয়। যদি এই প্রবাহ সহজেই হয় তবে ঐ পদার্থকে সু-পরিবাহী, আংশিক হলে অর্ধ-পরিবাহী এবং পরিপূর্ণ বাধা-গ্রন্থ হলে কু-পরিবাহী বলে।
বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্য হল নির্ধারিত পরিবাহীর মধ্য দিয়ে এক পরমাণু হতে অন্য পরমাণু বৈদ্যুতিক প্রবাহ পরিচালনা করার ক্ষমতা যেমন প্রতিরোধ ক্ষমতা, বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা, প্রতিরোধের তাপমাত্রা সহ, জম্ভরক (Dielectric) শক্তি এবং তাপবিদ্যুৎ। বৈদ্যুতিক ধর্ম হচ্ছে একটি উপাদানের প্রতিক্রিয়া যা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। উপাদান বলতে রেজিষ্টর, ক্যাপাসিটর, ইন্ডাক্টর, ভারত ইত্যাদি যা বৈদ্যুতিক বর্তনীতে ব্যবহার করা হয়। আর এই উপাদানের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হলে ভিন্ন ধরনের আচরণ পরিলক্ষিত হয়। বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা মূল বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি।
বিদ্যুৎ প্রবাহ ও ভোল্টেজ বিদ্যুৎ বিজ্ঞানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাশি। কারেন্ট শব্দের অর্থ প্রবাহ। বৈদ্যুতিক প্রবাহ এর অর্থ হলো বিদ্যুৎ আধান বা ইলেকট্রিক চার্জের প্রবাহ। পরিবাহী পদার্থের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ সহজে প্রবাহিত হয়। তবে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে সাধারনভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় না। বিদ্যুৎ প্রবাহ পেতে হলে পরিবাহীর দুই প্রান্তে ভোল্টেজের পার্থক্য সৃষ্টি করতে হয়। ভোন্টেজ পার্থক্যের কারণে পরিবাহীর বাইরের তলের ইলেকট্রন নামক কণা কম বিভব থেকে বেশি বিভবের দিকে অগ্রসর হয়। ইলেকট্রন প্রবাহিত হলে এর সাথে চার্জও প্রবাহিত হয়। চার্জের এককের নাম কুলম্ব। কোনো পরিবাহীর প্রস্থচ্ছেদ দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ চার্জ প্রবাহিত হয় তাকে তড়িৎ প্রবাহ বা কারেন্ট বা বৈদ্যুতিক কারেন্ট বলে।
অর্থাৎ কারেন্ট = চার্জ /সময় । গাণিতিকভাবে
কারেন্টের এককের নাম অ্যাম্পিয়ার। কোনো পরিবাহীর একক ক্ষেত্রফলের ভিতর দিয়ে প্রতি সেকেন্ড সময়ে এক কুলম্ব চার্জ প্রবাহিত হলে সৃষ্ট ইলেকট্রিক কারেন্টের মান হবে এক অ্যাম্পিয়ার।
পরিবাহী তারের মধ্যে ইলেকট্রন প্রবাহিত করানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয় তাকে ভোল্টেজ বা বৈদ্যুতিক চাপ বলে। ব্যাটারী, জেনারেটর, ট্রান্সফর্মার প্রভৃতির সাহায্যে বিভব পার্থক্য বা ভোল্টেজ সৃষ্টি করা যায়। কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের মধ্যে বিভব পার্থক্য ঘটলে পরিবাহীর চার্জের উপর একটি ইলেকট্রিক বল প্রযুক্ত হয়। পরিবাহীর মধ্যে ইলকট্রনসমূহ অনেকটা মুক্ত অবস্থার থাকে। ফলে প্রযুক্ত ইলেকট্রিক বলের কারণে ইলেকট্রনগুলো পরিবাহীর নিম্ন ভোল্টেজ প্রান্ত থেকে উচ্চ ভোল্টেজ প্রান্তের দিকে অগ্রসর হয়।
বৈদ্যুতিক কারেন্ট দুই প্রকার। যথা-
(ক) ডাইরেক্ট কারেন্ট বা ডিসি কারেন্ট: ডিসি কারেন্ট হলো ডাইরেক্ট কারেন্ট বা অপরিবর্তনশীল কারেন্ট। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে এই কারেন্টের দিক পরিবর্তিত হবে না। ডিসি কারেন্টের দুটি দিক থাকে যার একটি হচ্ছে পজেটিভ ও অন্যটি হচ্ছে নেগেটিভ। তাহলে বলা যায়, “কারেন্ট যা শুধুমাত্র একটি দিকে প্রবাহিত হয় ভাই ডিসি কারেন্ট'।
(খ) অল্টারনেটিং কারেন্ট বা এসি কারেন্ট: এসি পূর্ণ নাম হলো অল্টারনেটিং কারেন্ট যার বাংলা অর্থ পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ। এর মানে এটি সবসময় পর্যায়ক্রমে পরিবর্তনশীল হবে। প্রত্যেক পর্যায়ে এটি এর বিপরীত ধর্মে রূপান্তরিত হবে। অর্থাৎ এই কারেন্টের একটি দিক (ধনাত্মক) পজেটিভ ও এর কিছু সময় পরে নেগেটিভ হবে। তাহলে বলা হবে প্রথমে যেটি পজেটিভ ছিলো এরপরেই সেটি (নেগেটিভ) ঋণাত্মক হয়। অন্যাথায় “যে কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার সময় দিক পরিবর্তন করে তাকে অল্টারনেটিং বা এসি কারেন্ট বলে।”
বৈদ্যুতিক কারেন্ট-এর একক ও প্রতীক: ইলেকট্রিক কারেন্ট-কে সাধারণত ইংরেজি আই (I) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। কারেন্ট পরিমাপের চারটি একক প্রচলিত আছে। যথা-
(ক) সিজিএস বিদ্যুৎ একক (CGS esu): ১ স্থির বিদ্যুৎ একক ( 1 esu) = 3.33×1010 অ্যাম্পিয়ার।
(খ) সিজিএস বিদ্যুৎ চুম্বকীয় একক (CGS emū): ১ বিদ্যুৎ চুম্বকীয় একক (I emu) = 10 অ্যাম্পিয়ার।
(গ) ব্যবহারিক একক: অ্যাম্পিয়ার। ১ অ্যাম্পিয়ার = কুলম্ব/সেকেন্ড = 6.242×108 টি ইলেকট্রন/সেকেন্ড
(ঘ) আন্তর্জাতিক একক: কারেন্ট পরিমাপের আন্তর্জাতিক এককের নাম অ্যাম্পিয়ার।
ভোল্টেজ-এর একক ও প্রতীক: ভোল্টেজ-এর প্রতীক ভি (V) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ একটি পরিমাণমূলক রাশি। বৈদ্যুতিক ভোল্টেজের তিনটি একক আছে। যথা-
(ক) স্থির বিদ্যুৎ একক (esu): ১esu = 300 ভোল্ট
(খ) বিদ্যুৎ চুম্বকীয় একক (emu): ১ emu = 10-12 ভোল্ট
(গ) ব্যবহারিক একক: ভোল্ট। অসীম দূরত্ব হতে ১ কুলম্ব ধনাত্মক চার্জকে ইলেকটিক ফিল্ড এর নির্দিষ্ট বিন্দুতে প্রবাহিত করতে যদি ১ জুল কাজ সম্পন্ন হয় তবে ঐ বিন্দুর বিভবকে ১ ভোল্ট বলে। একে ভোল্টেজের আন্তর্জাতিক একক বা এসআই একক বলে।
১ কিলোভোল্ট = ১০° ভোল্ট এবং ১ মেগাভোল্ট – ১০৬ ভোল্ট। সুতারাং ১ আন্তর্জাতিক ভোল্ট = ১,০০০৩৩ ভোল্ট ধরা হয়।
এসি কারেন্ট | ডিসি কারেন্ট |
---|---|
এসি সার্কিটে জেনারেটর উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। | ডিসি সার্কিটে উৎস হিসেবে ব্যাটারি বা ডিসি জেনারেটর ব্যবহৃত হয়। |
এসি সার্কিটে উপাদান হিসেবে রেজিস্ট্যান্স, ইন্ডাকট্যান্স ও ক্যাপাসিট্যান্স ব্যবহার হয় | ডিসি সার্কিটে উপাদান হিসেবে শুধুমাত্র রেজিস্ট্যান্স ব্যবহার হয় |
এসি সার্কিটে ফ্রিকুয়েন্সির প্রভাবে ইন্ডাকট্যান্স ও ক্যাপাসিট্যান্স এর মান কমে ও বাড়ে। | ডিসি সার্কিটে ফ্রিকুয়েন্সির কোন প্রভাব নেই। |
এসি সার্কিটে ভোল্টেজ ও কারেন্টের মধ্যে ৯০ ডিগ্রী ফেজ অ্যাঙ্গেল বা ফেজ | পার্থক্য থাকে যার ফলে ভোল্টেজ ও কারেন্টকে গাণিতিকভাবে যোগ-বিয়োগ করতে বিয়োগ পরিবর্তে ভেক্টর যোগ করতে হয়। | ডিসি সার্কিটে ভোল্টেজ ও কারেন্টকে গাণিতিকভাবে যোগ-বিয়োগ করা যায়। |
রেকটিফায়ারের সাহায্যে এসি কারেন্টকে ডিসি কারেন্টে রূপান্তর করা যায়। ডিসি কারেন্টকে সহজে এসি কারেন্টে রূপান্তরিত করা যায় না আর করা গেলেও অনেক কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। | ডিসি কারেন্টকে সহজে এসি কারেন্টে রূপান্তরিত করা যায় না আর করা গেলেও অনেক কষ্টসাধ্য ব্যয়বহুল হয়ে থাকে । |
এসি কারেন্টকে ট্রান্সফরমারের সাহায্যে সরবরাহ ভোল্টেজ কমানো বা বাড়ানো যায়। | ডিসি কারেন্টের সরবরাহ ভোল্টেজকে কমানো বা বাড়ানো যায় না। |
এসি কারেন্টে রেগুলেশন-এ ভোল্টেজ ড্রপ অনেক বেশি। | ডিসি কারেন্টে রেগুলেশন-এ ভোল্টেজ ড্রপ কম। |
রেজিস্ট্যান্স হচ্ছে পরিবাহীর একটি বিশেষ ধর্ম। পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হয় বা বাঁধাপ্রাপ্ত হয়, তাকে রেজিস্ট্যান্স বা রোধ বলে। প্রত্যেক পদার্থেই কম বেশী রেজিস্ট্যান্স বা রোধ আছে। এটাকে আর (R) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
রেজিস্ট্যান্স এর ব্যবহারিক একক ওহম (2)। কোনো একটি স্থির পরিবাহীর দুই প্রান্তে ১ ভোল্ট বিভব পার্থক্য থাকলে যদি এর মধ্য দিয়ে ১ অ্যাম্পিয়ার মাত্রার কারেন্ট চলে, তবে উক্ত পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স-কে ওহম বলে। অথবা ১ ভোল্ট বৈদ্যুতিক চাপে যে পরিমাণ রেজিস্ট্যান্স-এর ভিতর দিয়ে এক অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে, ঐ পরিমাণ রেজিস্ট্যান্স-কে ১ ওহম রেজিস্ট্যান্স বলে। ১ আন্তর্জাতিক ওহম = 1.000৪৯৫ ওহম।
রেজিস্ট্যান্স-কে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
(ক) নির্দিষ্ট মানের রেজিস্ট্যান্স: যে রেজিস্ট্যান্স-এর মান পরিবর্তন করা যায় না, তাকে নির্দিষ্ট মানের রেজিস্ট্যান্স বলে। এটা আবার চার প্রকার যেমন;
(১) কার্বন রেজিস্টর- ইহা আকারে ছোট এবং ১ হতে ২ মেগা ওহম পর্যন্ত হয়ে থাকে।
(২) মেটাল রেজিস্টর- এ রেজিস্টর কার্বন রেজিস্টর হতে বড় এবং সাধারণত ০.১ হতে ১০ ওয়াট পর্যন্ত হয়ে থাকে।
(৩) ওয়্যার উন্ড রেজিস্টর- যে সমস্ত রেজিস্টর তারের কুন্ডলী পাকিয়ে রেজিস্ট্যান্স তৈরি করা হয়। সাধারণত চিনামাটি, নাইক্রোম, জার্মান সিলভার ইত্যাদির উপর তারের কুন্ডলী পাকিয়ে কম ওহম বিশিস্ট রেজিস্ট্যান্স তৈরি করা হয়। ইহা ৫ হতে ২০০ ওয়াট পর্যন্ত হয়ে থাকে।
(ক) ব্যালাস্ট রেজিস্টর যে সমস্ত রেজিস্টরের তার বিশেষ আবরণের মধ্যে থাকে, যাতে ঐ তারের উপর বাইরের কোনো বস্তু স্পর্শ করতে না পারে, তাদেরকে ব্যালাস্ট রেজিস্টর বলে। এটা বিভিন্ন মানের হয়ে থাকে।
(খ) পরিবর্তনীয় মানের রেজিস্ট্যান্স: যে রেজিস্ট্যান্স-এর মান প্রয়োজন মতো পরিবর্তন করা যায়, তাকে পরিবর্তনীয় মানের রেজিস্টর বলে। এ রেজিস্টর ভলিউম কন্ট্রোল-এর ভিতর ব্যবহার করা হয়।
একটি সার্কিটের মধ্যে দিয়ে যে হারে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয়ে কাজ সম্পন্ন করে তাকে ইলেকট্রিক পাওয়ার বলে। একে সাধারণত P দ্বারা প্রকাশ করা হয়। P = Work / Time অর্থাৎ জুল/ সেকেন্ড, SI একক ওয়াট (Watt)। ইলেকট্রিক পাওয়ার পরিমাপ করা হয় ওয়াটে।
সুতরাং পাওয়ার, P = V×I
এখানে Q = ইলেকট্রিক চার্জ কুলম্বে, t = সময় সেকেন্ডে, I = কারেন্টের এম্পিয়ারে, V = পটেনশিয়াল ভোল্টেজ ভোল্টে
যেকোনো যন্ত্রের চলার জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়। কোনো লোড নির্দিষ্ট সময়ে যতটুকু শক্তি খরচ করে কোনো কাজ সম্পন্ন করে সেই হিসাবকেই ওয়াট বলে। অন্যভাবে, যে ক্ষমতায় প্রতি সেকেন্ডে এক জুল পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তাকে ওয়াট বলে।
ওয়াট পরিমাপ করার জন্য সাধারণত ওয়াট মিটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে নিচের সূত্রের সাহায্যেও পাওয়ার নির্ণয় করা যায়। যেমন- P = V× I2 × Cos, P = 12 x R x Cos,, P = (V2 x Cost )/ R
P Power এর একক ওয়াট, I হলো current এর একক হলো এম্পিয়ার, V Voltage এর একক = = = হলো ভোল্ট, R = Resistance যার একক ওহম, Cose = Power factor যা ফেজ এঙ্গেলের মান। এনার্জি বা শক্তি (Energy):
বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বা পাওয়ার একটি সার্কিটে যতক্ষন কাজ করে, পাওয়ারের সাথে উক্ত সময়ের গুনফলকে বৈদ্যুতিক শক্তি বা এনার্জি বলে। অর্থাৎ এনার্জি, W = P x T, যেখানে P = Power, T = Time এনার্জি একক সাধারণত Watt-hour বা Kilowatt-hour, এনার্জি মিটারের সাহায্যে সাধারণত এনার্জি পরিমাপ করা যায়।
কয়েলের যে ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের কারণে পরিবাহীতে কারেন্ট প্রবাহ অপরিবর্তিত থাকে অথবা উৎপন্ন চুম্বক বলরেখার হ্রাস বা বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে তাকে ইন্ডাকট্যান্স বলে।
1.2.10 ইম্পিডেন্স (Impedance): সাধারণত এসি সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়। কোনো বৈদ্যুতিক বর্তনীতে রেজিস্ট্যান্স (R) ও ইন্ডাক্টর (L) অর্থাৎ RL সার্কিট অথবা রেজিস্ট্যান্স ও ক্যাপাসিটর (C) অর্থাৎ RC সার্কিট অথবা রেজিস্ট্যান্স, ইন্ডাক্টর ও ক্যাপাসিটর অর্থাৎ RLC সার্কিট মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহে যে বাধা সৃষ্টি হয় তাকে যথাক্রমে ইন্ডাক্টিভ রিয়্যাকটেন্স (X), ক্যাপাসিটিভ রিয়্যাকটেন্স (Xc) এবং ইম্পিডেন্স বলে। ইম্পিডেলকে Z দ্বারা প্রকাশ করা হয় যার একক ওহম (O)। নিচে RLC সার্কিটের ইম্পিডেন্স নির্ণয়ের সুত্র দেওয়া হলো। এ সার্কিটে সিঙ্গেল ফেজ এসি ভোল্ট সরবরাহ করা হয়েছে, যা রেজিষ্টর, ইন্ডাক্টর ও ক্যাপাসিটর এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বর্তনী সম্পন্ন করেছে। একটি RLC সার্কিটে ইম্পিডেন্স, Z = √(x2 + (XL-XC)
বৈদ্যুতিক সার্কিটের উপকরণসমূহকে সংক্ষেপে ও সহজে বোঝানোর জন্য নানা ধরণের প্রতীক ব্যবহার করা হয়। নকসা বা ড্রয়িং-এ ইলেকট্রিক্যাল ফিটিংস- ফিক্সচার ও সরঞ্জামাদির অবস্থান দেখানোর জন্য যে সমস্ত বিশেষ ধরনের সংকেত ব্যবহার করা হয় তাদেরকে ইলেকট্রিক্যাল সার্কিটের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম স্থাপন বা মেরামতের কাজে যারা নিয়োজিত থাকেন তাদেরকে অবশ্যই এসব প্রতীক সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তবে কিছু প্রতীকের বিষয়ে প্রত্যেক মানুষের ধারণা থাকা দরকার।
ক) তোমার প্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রিক ওয়ার্কশপে রক্ষিত বাসায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের তালিকা প্রভুত কর এবং বৈদ্যুতিক বর্তনীতে ব্যবহৃত প্রতীকসমূহ অঙ্কন কর।
ড্রয়িং হলো প্রকৌশলীর ভাষা। ভাই নকসা বা ড্রয়িং দেখে বৈদ্যুতিক স্থাপনার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করতে হয়। নকসা বা ড্রয়িং-এ ইলেকট্রিক্যাল ফিটিংস-ফিক্সচার ও সরঞ্জাম বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত প্রতীকসমূহের সুস্পষ্ট চিত্র থাকা বাঞ্চনীয়। এগুলো দেখে প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানগণ যাবতীয় স্থাপনার কাজ সম্পাদন করে থাকেন। ভাষাগত ভিন্নতা থাকলেও এ ধরনের প্রতীকের সাহায্যে সার্কিটের বিষয়গুলো বোঝানো যায়।
বৈদ্যুতিক সার্কিটে অসংখ্য প্রতীক ব্যবহৃত হয়। সার্কিট ড্রয়িং-এ প্রতীকসমূহের ব্যবহার বিষয়ে যত্নবান থাকা উচিৎ। কোনো কোনো বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের পোলারিটি থাকে অর্থাৎ নেগেটিভের জায়গায় পজিটিভ বসালে যন্ত্রটির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নীচে সার্কিট ড্রয়িং-এ কয়েকটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের প্রতীক দেখানো হয়েছে।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলি বৈদ্যুতিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় ফলে বৈদ্যুতিক তারের ইনস্টলেশন সঠিকভাবে এবং দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে পারি। বৈদ্যুতিক কাজ করার জন্য অবশ্যই সঠিক সরঞ্জাম নির্বাচন করতে সক্ষম হতে হবে তবেই কাজের মান উন্নত হবে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক কাজগুলি সহজে ও দ্রুত করতে পারি।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলি বৈদ্যুতিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় ফলে বৈদ্যুতিক তারের ইনস্টলেশন সঠিকভাবে এবং দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে পারি। বৈদ্যুতিক কাজ করার জন্য অবশ্যই সঠিক সরঞ্জাম নির্বাচন করতে সক্ষম হতে হবে তবেই কাজের মান উন্নত হবে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক কাজগুলি সহজে ও দ্রুত করতে পারি।
প্লায়ারগুলি তারের ইনসুলেশন কর্তন, তার কাটা, মোচড়ানো, বাঁকানো, ধরে রাখা এবং আঁকড়ে ধরার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের প্রায়ার আছে যেমন সাইড কাটিং প্লায়ার বৈদ্যুতিক তার এবং তারের ইনসুলেশন কাটার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। লংনোজ প্রায়ারগুলি সুক্ষ্ম তারগুলি কাটা এবং ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এগুলি আঁটসাঁট জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে, এই ধরনের প্রায়ারগুলি সাধারণত তামার তারে টার্মিনাল লুপ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। ডায়াগনাল প্লায়ারগুলি মাঝারি বা সূক্ষ্ম তারগুলি কাটার জন্য ব্যবহার করা হয় এগুলি নরম ধাতুর ছোট মুখগুলিকে বাঁকানোর জন্যও ব্যবহৃত হয়।
ওয়্যার স্লিপারগুলি ভারের নিরোধক অপসারণ করতে ব্যবহৃত হয়, বেশিরভাগ মাঝারি আকারের তারগুলি গেজ ১০ থেকে ১৬ গেজ পর্যন্ত। ওয়্যার স্লিপারগুলি গেজ ২৬ থেকে গেজ ১০ পর্যন্ত রাবার আচ্ছাদিত তারের নিরোধক অপসারণ করতেও ব্যবহৃত হয় ।
স্ক্রু ড্রাইভারগুলি স্লটেড হেড সহ স্কুগুলি আলগা বা আটকাতে ব্যবহার করা যেতে পারে, স্ক্রু ড্রাইভারগুলি বিভিন্ন আকারের হয়। স্ক্রু ড্রাইভারগুলি ইস্পাত দিয়ে তৈরি এবং টিপ (Tip) টেম্পারত করা থাকে। ক্ষু এর আকার ও আকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের স্ক্রু ড্রাইভার ব্যবহার করা হয়।
হাতুড়ি হল এমন সংগ্রাম যা আঘাত, ধাক্কাধারি এবং টানার জন্য ব্যবহৃত হয়। ধাতব, প্লাস্টিক, কাঠের তৈরি হাতুড়ি বিভিন্ন ওজনের এবং আকৃতির পাওয়া যায়। হ্যামার, বল পিন হ্যামার এবং ম্যালেটের মতো বিভিন্ন ধরণের হাতুড়ি রয়েছে। যাদের কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এই ডিভাইসগুলি খাত্তৰ শীট এবং কংক্রিটের দেয়ালে গর্ভ বা ড্রিল করতে ব্যবহৃত হয়। এগুলি বৈদ্যুতিক বোর্ড, সুইচ, সার্কিট ব্রেকার, তারের চ্যানেল ইত্যাদি লাগানের জন্য বিল্ডিং কাঠামোতে গর্ত তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। নীচে ছবিতে অবস্থান ও ছিল পদ্ধতি দেখানো হলো।
হ্যাক'স ধাতব নালী এবং সাঁজোয়া ভারের চ্যানেল কাঠতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ছোট এবং মাঝারি জাকারের ধাতু কাটাতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। ছবিতে হ্যাকস কাটিং অবস্থান ও পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। হ্যাকস ব্রেড এর দাঁত সামনের দিকে অর্থাৎ সামনে ঠেলার দিকে যে অবস্থায় চাপ দিয়ে কাটতে হয়।
একজন ইলেক্ট্রিশিয়ানের জন্য নিয়ন টেস্টার প্রধান হাতিয়ার বলা যেতে পারে। এটি দিয়ে ভোল্টেজ ও বিদ্যুতের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। নিয়ন টেস্টার এর সাহায্যে উচ্চস্তরের ভোল্টেজের উপস্থিতি পরীক্ষা করতে ব্যবহার করা হয় না। সাধারণত ২৫০ ভোল্টের বেশি ভোল্টেজ পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয় না।
একটি মাল্টিমিটার এর সাহায্যে ভোল্টেজ, কারেন্ট, রেজিস্ট্যান্স, ক্যাপাসিট্যান্স, কন্ডাক্টেল, ফ্রিকোয়েন্সি পরিমাপ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে ষাড়ে। এই যন্ত্রটি একজন ইলেকট্রিশিয়ানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সমস্ত বৈদ্যুতিক উপাদান পরিমাণ করতে পারে। এই মিটার সঠিক রিডিংও দেখাতে পারে। বাজারে ডিজিটাল এবং অ্যানালগ মাল্টিমিটার পাওয়া যায়।
রেঞ্চগুলি হল এমন যন্ত্র যা ক্ষু, নাট এবং বোল্টগুলিকে খুলতে বা আটকাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যাডজাস্টেবল রেঞ্চ, পাইপ রেঞ্চ, ডাইস গ্রিপ ব্রেঞ্চের মতো বিভিন্ন ধরণের রেঞ্চ রয়েছে। কাজের ধরণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরণের রেঞ্চ ব্যবহার করা হয়। নিচের ছবিতে দেখানো হলো।
অসিলোস্কোপ পরীক্ষা ওয়েডফর্ম হিসাবে ভোল্টেজ সংকেত প্রদর্শন করে এবং সময়ের সাথে ভোল্টেজের তারতম্যের ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা দেখায়। সংকেত পরিবর্তনের একটি গ্রাফ প্লট তৈরি করে। ছবিতে দেখানো হলো।
ফ্রিকোয়েন্সি মিটার এমন একটি যন্ত্র যা পর্যায়ক্রমিক বৈদ্যুতিক সংকেতের ফ্রিকোয়েন্সি প্রদর্শন করে। প্রতি সেকেন্ডে একটি ৰাতি কতবার জ্বলে এবং নিচে অর্থাৎ কতটি ওয়েভ সাইকেল তৈরি করে। সাধারণত আমাদের দেশে বৈদ্যুতিক ফ্রিকোয়েন্সি ৫০ হার্স (Hz) অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ৫০টি ওয়েভ সাইকেল তৈরি করে।
এটা এমন একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যা পুনরাবৃত্তি এবং অপুনরাবৃত্তি এনালগ বা ডিজিটাল সংকেত প্রদান করে থাকে। বিভিন্ন কাজে যেমন সংকেত পথনুসরণ, সংকেত্ত পরিবর্ধক করা, সংকেত সম্পর্কিত সমস্যা সমাধান ইত্যাদি বিষয়ে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন উদ্দেশ্যের জন্য বিভিন্ন ধরণের সংকেত এবং ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি করে। যখন শব্দ সংকেত হতে নিয়ন্ত্রিত ভোল্টেজ প্রয়োগ করা হয় তখন ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রিত অসিলেটরের মাধ্যমে সামঞ্জস্য তরঙ্গ তৈরি করে থাকে। এই তরঙ্গ বিভিন্ন ধরনের ওয়েড প্যাটার্ন যেমন স্কয়ার, ট্রাই-অ্যাঙ্গুলার ওয়েড হয়ে থাকে যা শব্দ সংকেত এর উপর নির্ভর করে।
সুইচ হল একটি ডিভাইস যা সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহকে বন্ধ করা বা চালু করা। প্রতিটি বৈদ্যুতিক এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যাপ্লিকেশন ডিভাইসটির চালু এবং বন্ধ করার জন্য কমপক্ষে একটি সুইচ ব্যবহার করে । মুলত সুইচ দুই ধরণের হতে পারে।
ক) যান্ত্রিক সুইচ
খ) বৈদ্যুতিক সুইচ
যান্ত্রিক সুইচগুলি হল স্পর্শক সুইচ যা এগুলিকে অবশ্যই স্পর্শ করে, ঘুড়ায়ে, টিপে বা পুশ করার মাধ্যমে সক্রিয় করতে হয়। অন্যদিকে, বৈদ্যুতিক সুইচগুলি সার্কিট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরাসরি স্পর্শ করার প্রয়োজন হয় না। এগুলি অর্ধপরিবাহী ক্রিয়া দ্বারা সক্রিয় হয়।
প্লাগ একটি বৈদ্যুতিক ডিভাইস যা পাওয়ার সংযোগ করতে ব্যবহৃত হয়। পাশে বিভিন্ন টাইপের প্রাণ এর সাথে বিভিন্ন আকারের সকেট দেখানো হয়েছে। সাধারণত টু পিন এবং থ্রি পিন প্রাণ দেখা যায় তবে এদের সহায়ন ও আকার ভিন্ন হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী সকেট তৈরি করে থাকে। নীচের ছবিতে দেখানো হলো।
কন্ট্রোল সার্কিট এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক উপাদানগুলির সুরক্ষা ও সুইচিংয়ের জন্য রিলে অপরিহার্য উপাদান। সকল রিলের লক্ষ্য ভোল্টেজ বা কারেন্টের সাথে প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে সার্কিটগুলি খুলতে বা বন্ধ করতে সাহায্য করে। এখানে রিলে ৫টি টার্মিনাল পোস্ট নিয়ে গঠিত হয়েছে কয়েলে দু প্রান্তে দুটি পোস্ট, মাঝে কমন এবং অপর পাশে ক্লোজ ও ওপেন পোস্ট থাকে।
সুইচ মোড পাওয়ার সাপ্লাই হল ইলেকট্রনিক পাওয়ার সাপ্লাই যা বৈদ্যুতিক শক্তিকে দক্ষতার সাথে সুইচিং নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে। অন্যান্য পাওয়ার সাপ্লাইয়ের মতো SMPS ডিসি বা এসি সোর্স থেকে ডিসি লোডে পাওয়ার স্থানান্তর করে যেমন ডেস্কটপ কম্পিউটার।
ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার হল বৈদ্যুতিক ভিভাইস যা ইনপুট বা ইনকামিং সাপ্লাই ভোল্টেজের পরিবর্তন নির্বিশেষে তার আউটপুট টার্মিনালগুলিতে একটি লোডের জন্য একটি ধ্রুবক ভোল্টেজ সরবরাহ করে। এটি ওভার ভোল্টেজ, আন্ডার ডোস্টেজ এবং অন্যান্য ডোল্টেজ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি রক্ষা করে।
ডাইরেক্ট কারেন্ট মোটর এক ধরনের বৈদ্যুতিক মেশিন যা বৈদ্যুতিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর (ডিসি) করে। ডিসি মোটর সরাসরি প্রবাহের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক শক্তি গ্রহণ করে এবং এই শক্তিকে যান্ত্রিক ঘূর্ণনে রূপান্তর করে।
এসি মোটর হলো বৈদ্যুতিক মোটর যা অল্টারনেটিং কারেন্ট দ্বারা চালিত হয়। এসি মোটর সাধারণত দুটি মৌলিক অংশ নিয়ে গঠিত। একটি বাইরের স্টেটরে ঘূর্ণায়মান চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরির জন্য কয়েলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় এবং আউটপুট শ্যান্টের সাথে সংযুক্ত ভিতরের রোটর দ্বিতীয় ঘূর্ণায়মান চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। ফলে ড্রাইভ শ্যাফট ঘূর্ণন গতি লাভ করে। ইনপুটে টার্মিনাল বক্সে অন্তর্ভুক্ত টার্মিনাল পোস্টে বৈদ্যুতিক কারেন্ট সরবরাহ করা হয়।
এটা একটি ডিজেল বা পেট্রোল ইঞ্জিন বা অন্যান্য শক্তি চালিত মেশিন । ইঞ্জিনের উৎপাদিত শক্তির সাহায্যে মোটর ড্রাইভেন শ্যাফটকে পরিচালিত করে। ভারপর মোটরের নীতি অনুসারে এসি মোটর ন্যায় এসি উৎপন্ন করে। বৈদ্যুতিক জেনারেটর যাকে ডায়নামোও বলা হয় যা গৃহস্থালী, বাণিজ্যিক এবং শিল্প গ্রাহকদের কাছে পাওয়ার লাইনের মাধ্যমে সঞ্চালন এবং বিতরণের জন্য যান্ত্রিক শক্তিকে বিদ্যুতে রূপান্তর করে। জেনারেটরগুলি অটোমোবাইল, বিমান, জাহাজ ও ট্রেনের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক শক্তিও উৎপাদন করে। জেনারেটর দুই ধরনের যথা- ক) এসি জেনারেটর খ) ডিসি জেনারেটর।
আউটপুট রিডিং পদ্ধতির উপর নির্ভর করে বৈদ্যুতিক পরিমাপক যন্ত্রের শ্রেণিবিভাগ। যেমন-
সরাসরি পরিমাপক : এই ধরনের ডিভাইসের আউটপুট সরাসরি প্রাপ্ত হয় এবং তাদের মান জানার জন্য কোন গাণিতিক গণনার প্রয়োজন হয় না।
ডিজিটাল ইনট্রুমেন্ট: ডিজিটাল বাটি সংখ্যাসূচক আকারে আউটপুট দেয়। যন্ত্রটি এনালগ যন্ত্রের তুলনায় তারও নির্ভুল কারণ পারে কোনও মানুষ কর্তৃক ত্রুটি ঘটে না।
এনালগ যন্ত্র: যে যজ্ঞের আউটপুট ক্রমাগত পরিবর্তিত হয় তাকে এনালগ যন্ত্র বলে। এনালগ ঘরটিতে পয়েন্টার রয়েছে যা পরিমাপযোগ্য পরিমাণের মাত্রা দেখায়।
শূন্য বিচ্যুতি য: এই যন্ত্রটি শূন্য বা শূন্য বিচ্যুতি পরিমাণিত পরিমাণের মাত্রা নির্দেশ করে। যন্ত্রটির উচ্চ নির্ভুলতা এবং সংবেদনশীলতা রয়েছে। একটি জানা এবং একটি অজানা মান ব্যবহার করা হয়। যখন জানা অজানা পরিমাপের পরিমাণের মান সমান হয়, তখন পয়েন্টারটি শূন্য বা শূন্য বিচ্যুতি দেখায়। এ যন্ত্রটি পটেনশিওমিটার এবং গ্যালভানোমিটারে শূন্য পয়েন্ট সাপার জন্য ব্যবহৃত হয়।
পরেটার বিচ্যূতি যন্ত্র: যে যন্ত্রে পয়েন্টারের বিচ্যুতির মাধ্যমে পরিমাপের মান নির্ধারণ করা হয় তাকে পরেন্টার বিচ্যুতি যন্ত্র বলে। কোনো সিস্টেমে চলমান যন্ত্রের পরিমাণের জন্য পরিমাপক যন্ত্রের পয়েন্টারকে বিচ্যুত করে যা ক্রমাঙ্কিত স্থির স্কেলের মাধ্যমে পরিমাণের মাত্রা জানা যায়।
নির্দেশক যন্ত্র: যে যন্ত্রটি পরিমাপকৃত পরিমাণের মাত্রা নির্দেশ করে তাকে নির্দেশক যন্ত্র বলে। নির্দেশক যন্ত্রটিতে একটি ডায়াল রয়েছে যা দাগকাটা ডায়ালের উপর চলে। ভোল্টমিটার, অ্যামিটার, পাওয়ার ফ্যাক্টর মিটার হল নির্দেশক যন্ত্রের উদাহরণ।
ইন্টিগ্রেটিং ইন্ট্রুমেন্ট: যে যন্ত্রটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে সরবরাহকৃত মোট শক্তি পরিমাপ করে তাকে ইন্টিগ্রেটিং যন্ত্র বলে। যন্ত্র দ্বারা পরিমাপ করা মোট শক্তি সময়ের গুণফল এবং বৈদ্যুতিক পরিমাণ পরিমাপ করে। এনার্জি মিটার, ওয়াট আওয়ার মিটার হল ইন্টিগ্রেটিং যন্ত্রের উদাহর
রেকর্ডিং : যে যন্ত্রটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে সার্কিটের অবস্থা রেকর্ড করে যা রেকর্ডিং যন্ত্র হিসাবে পরিচিত। এই রেকর্ডিং যা একটি কলস বহন করে যা কাগজের শীটে হালকাভাবে স্পর্শ করে কাগজে আঁকা বক্ররেখার বৈদ্যুতিক মান পরিমাণের তারতম্য দেখায়।
পরিমাপ ব্যবস্থার প্রধান কাজগুলি হল বৈদ্যুতিক ইউনিটগুলি নির্দেশ করা, রেকর্ড করা, শনাক্ত করা, নিয়ন্ত্রণ করা এবং পরীক্ষা করা। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার দেওয়া হলো।
• এটি বৈদ্যুতিক সিস্টেমের অপারেশন নিয়ন্ত্রণ এবং নিরীক্ষণ করতে সাহায্য করে ।
• আদর্শ মানের সাহায্যে পরিমাপ ইউনিটের ত্রুটি খুঁজে পেতে পারে।
• পাওয়ার স্টেশন তৈরিতে, যন্ত্রগুলি ডেটা রেকর্ডিং, মান পরিমাপ, ত্রুটি শনাক্তকরণ এবং আরও অনেক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
• এটি বিপদজনক অবস্থার অবস্থান শনাক্ত এবং রক্ষা করতে সাহায্য করে।
• বৈদ্যুতিক সিস্টেমের পরীক্ষামূলক ডেটা বিশ্লেষণের জন্য পরিমাপ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। সঠিক সংখ্যাসূচক মান প্রদর্শনের জন্য এটি অপরিহার্য। ডিজিটাল মাল্টিমিটার তার মধ্যে একটি।
• বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এটি ল্যাব, শিল্প পরিবেশ, বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল অধ্যয়ন, একটি বৈদ্যুতিক এবং ইলেকট্রনিক্স প্রকল্প নির্মাণ ইত্যাদিতে পরীক্ষায় ব্যবহার করে।
কাজের সরঞ্জামগুলির সুরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যার জন্য ঘন ঘন মনোযোগের প্রয়োজন হতে পারে। যেকোন রক্ষণাবেক্ষণ প্রোগ্রামের মধ্যে প্রতিফলিত হতে পারে যেমন শুধুমাত্র ত্রুটি বা ব্যর্থতার পরেই ব্রেকডাউন রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, যেখানে কাজের সরঞ্জামের উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি হবে সেখানে ক্রমাগত ব্যবহার সঠিক হবে না। নিচে গুরুত্বপূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা হল :
১.রক্ষণাবেক্ষণ এবং অপারেশন টিমের সাথে সম্পর্কিত কাজগুলি পরিচালনা করা।
২।.প্রতিরোধমূলক রক্ষণাবেক্ষণ প্রোগ্রামগুলি বিকাশ এবং কার্যকর করা।
৩. বৈদ্যুতিক, বায়ুসংক্রান্ত, ইলেকট্রনিক পাশাপাশি প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোল (PLC) সিস্টেমের জন্য ইন্সট্রুমেন্টেশন মূল্যায়ন এবং সমস্যা সমাধান পরিচালনা করা।
৪. মেরামত এবং প্রতিস্থাপনের সাথে কার্যকরী অনুসরণ করে কমিশন ইনস্ট্রুমেন্টেশন নিশ্চিত করা।
৫. প্রয়োজন অনুসারে ইন্সট্রুমেন্টেশনে কার্যকরী কর্মক্ষমতা সম্পর্কিত পরীক্ষা পরিচালনা করা।
৬. প্রয়োজনীয় যন্ত্র রক্ষণাবেক্ষণ বা প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সম্পাদনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবেশ এবং সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তাগুলির সাথে সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করা।
৭. যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ এবং নির্মাণ পরিচালনার সাথে সম্পর্কিত নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনে পরিবর্তনের সচেতনতা বজায় রাখা এবং আপডেট করা।
৮. কাজের আদেশ সম্পূর্ণ করার জন্য শ্রেণীবিভাগ এবং অগ্রাধিকার ব্যবস্থা মেনে চলা।
৯. পরিকল্পনা এবং প্রতিক্রিয়াশীল কাজের ক্রিয়াকলাপ সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং সংস্থান শনাক্ত করতে পরিকল্পনা ও অপারেশন কর্মীদের সহায়তা করা।
১০. প্রতিটি অনুমোদিত অপারেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি মেনে চলা।
১১. সময়সূচী কাজের লোড হিসাবে রক্ষণাবেক্ষণ পরিকল্পনাকারীদের সাথে সঞ্চালন করা।
১২. পরিমাপক যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিষ্কার করা।
১৩. কাজ সমাপ্তির জন্য সমস্ত নির্দেশাবলী মেনে চলা।
ইলেকট্রো-স্ট্যাটিক ডিসচার্জ হল দুটি বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত বস্তুর মধ্যে হঠাৎ এবং ক্ষণস্থায়ী বৈদ্যুতিক প্রবাহ যা একটি বৈদ্যুতিক শর্ট ডাই-ইলেকট্রিক ব্রেকডাউনের কারণে ঘটে। ট্রাইবোচার্জিং বা ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক ইন্ডাকশন দ্বারা স্ট্যাটিক ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি হতে পারে। ESD ঘটে যখন ভিন্নভাবে চার্জযুক্ত বস্তুগুলিকে একত্রে কাছাকাছি আনা হয় বা যখন তাদের মধ্যকার অন্তরক ভেঙ্গে যায়, প্রায়শই একটি দৃশ্যমান স্পার্ক তৈরি করে।
স্ট্যাটিক ইলেকট্রিসিটি হল ইলেকট্রনের ঘাটতি বা অতিরিক্ত ভারসাম্যহীনতা। ঘাটতি বা অতিরিক্ত ইলেকট্রনের মোট সংখ্যা সেই পৃষ্ঠের চার্জ নির্ধারণ করে। একটি অতিরিক্ত ইলেকট্রন পৃষ্ঠকে নেতিবাচক চার্জ এবং একটি ইলেকট্রন ঘাটতি পৃষ্ঠকে ধনাত্মক চার্জ ধরা হয়। এই চার্জ পরিমাপ করতে একটি ভোল্টমিটার ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিরাপদ পণ্য ব্যবহার এবং সাধারণ সতর্কতা অনুসরণ করে ইএসডি প্রতিরোধ ও নির্মূল করা যেতে পারে:
• PCB (Printed Board Circuit) এর ইউনিট উৎপাদনের জন্য একটি ESD নিরাপদ ক্লিনরুম পরিবেশে অ্যাসেম্বলি করা উচিত।
• PCB বা ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম মেরামত করার সময়, কর্মীকে প্রাউন্ড করার জন্য সর্বদা একটি গ্রাউন্ডেড অ্যান্টি-স্ট্যাটিক কব্জির চাবুক পরিধান করা প্রয়োজন।
• ESD-নিরাপদ মাদুর টেবিল বা কাজের বেঞ্চে এবং মাটিতে রাখ।
• অ্যান্টি-স্ট্যাটিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা।
• যেখানে গ্রাউন্ডিং সম্ভব নয় সেখানে চার্জ নিরপেক্ষ করার জন্য আয়নাইজেশন (চার্জ প্রশমন) করার জন্য ionizers (স্ট্যাটিক এলিমিনেটর) ব্যবহার করা ।
• PCB প্যাকেজ করার সময় অ্যান্টিস্ট্যাটিক ব্যাগ ব্যবহার করা।
পরিবাহী পদার্থগুলি বৈদ্যুতিক প্রবাহের প্রবাহ বা উত্তরণ চার্জ বাহক হিসাবে ইলেকট্রন অথবা আয়ন-কে অনুমতি দেয় । এইভাবে দুই ধরনের পরিবাহী পদার্থ বিদ্যমান যেমন, ইলেকট্রনিক পরিবাহী ও আধুনিক পরিবাহী।
নিরোধক পদার্থ ইলেকট্রনের প্রবাহকে বাধা দেয় বা সীমিত করে, বৈদ্যুতিক চার্জের সর্বোচ্চ প্রতিরোধ দেখায়। অর্থাৎ যে পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ যেতে দেয় না, সেই পদার্থকে নিরোধক পদার্থ বলে।
পরিবাহী এবং নিষ্ক্রিয় ধারক মধ্যে পার্থক্য:
যদি রোধের মান কম হয় তবে স্ট্যাটিক চার্জ মাটিতে প্রবাহ মুক্ত হয়। আর রোধের মান বাড়তে থাকলে স্ট্যাটিক চার্জ মাটিতে প্রবাহ ধীর গতি হয়। অর্থাৎ উপরে চিত্রে প্রতি একক ক্ষেত্রফল রোধের মান ১০৫ হতে ১০৯ হলে নিষ্ক্রিয় ধারক এবং এর কম মান হলে পরিবাহী ধারক হিসাবে বিবেচিত হবে। আবার রোধের মান ১০৯ হতে ১০১৪ হলে ষ্ট্যাটিক চার্জ যুক্ত পদাৰ্থ বোঝাবে।
ডিজিটাল মাল্টিমিটার দিরে ক্যাপাসিট্যান্স বা "F" পরিমাপ করা যেতে পারে। এটির মাধ্যমে মোটামুটি রিডিং প্রদান করতে পারে যা খুব সুনির্দিষ্ট নয়। সঠিক পরিমাপের জন্য, LCR (ইন্ডাকট্যান্স, ক্যাপাসিটেল এবং রেজিস্ট্যান্স) মিটার ব্যবহার করা হয় যা খুব ব্যয়বহুল এবং এমনকি সমমান সিরিজ রেজিস্ট্যান্স ব্যবহার করে ক্যাপাসিট্যান্স পরিমাপ করা যায়।
ডিজিটাল বা এনালগ মাল্টিমিটার ব্যবহার করে আমরা একাধিক বৈদ্যুতিক পরিমাণ যেমন ভোল্টেজ, কারেন্ট, রেজিস্ট্যান্স, ক্যাপাসিট্যান্স, ফ্রিকোয়েন্সি তাপমাত্রা এবং ধারাবাহিকতা বা কন্টিনিউটি ইত্যাদি পরিমাপ করতে পারি। বৈদ্যুতিক ইলেকট্রনিক উপাদান যেমন প্রতিরোধক, ক্যাপাসিটর, ডায়ড, ট্রানজিস্টর এবং ভারের পরীক্ষা করতে পারি। নিম্নলিখিত ডিজিটাল মাল্টিমিটার ব্যবহার করে ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিট্যান্সের সঠিক মান পরিমাপ করা যায়।
১. ক্যাপাসিটরটি পরিপূর্ণ চার্জমুক্ত নিশ্চিত করতে হবে অর্থাৎ ক্যাপাসিটরের দু'টি টার্মিনাল শর্ট করলে কোনো স্পার্ক না হয় তবে বুঝতে হবে এটি চাৰ্জ মুক্ত।
২. মিটারের নাট 1K (১ কিলো ওহম) এ সেট করতে হবে।
৩. মাল্টিমিটার এবটি পজেটিভ অংশ ক্যাপাসিটরের পজেটিভ টারমিনালে এবং নেগেটিভ অংশ নেগেটিভ টারমিনালে সংযোগ করতে হবে।
৪. তারপর মিটারটি OL (Open Lime) অথবা ০ (অসীম) লেখা দেখাৰে অৰ্থাৎ ক্যাপাসিটরটি ভাল আছে বোঝাবে।
৫. যদি কোনো পরিবর্তন না হয় তবে ক্যাপাসিটরটি অকেজো বা খারাপ ধরে নিতে হবে।
১.৯.৩ ডিজিটাল মাল্টিমিটারের সাহায্যে কাপাসিটর টেস্ট (ক্যাপিসিটেন্স রোড):
১. ক্যাপাসিটরটি পরিপূর্ণ চার্জযুক্ত নিশ্চিত করতে হবে অর্থাৎ ক্যাপাসিটরের দু'টি টারমিনাল শর্ট করলে কোনো স্পার্ক না হয় তবে বুঝতে হবে এটি চার্জ মুক্ত।
২. সার্কিট বোর্ড হতে ক্যাপাসিটরটি খুলতে হবে।
৩. মিটারের নবটি C মোডে এ সেট করতে হবে।
৪. মাল্টিমিটার পোর্ট এর পজেটিভ অংশ ক্যাপাসিটরের পজেটিভ টার্মিনালে এবং নেগেটিভ অংশ নেগেটিভ টার্মিনালে সংযোগ করতে হবে।
৫. যদি মিটারটি ক্যাপাসিটরের প্রকৃত মানের কাছাকাছি দেখায় তবে ক্যাপাসিটরটি ভাল আছে।
ডিজিটাল মাল্টিমিটারের সাহায্যে ক্যাপাসিটর টেস্ট (কন্টিনিউটি মোড):
১. ক্যাপাসিটরটি পরিপূর্ণ চার্জযুক্ত নিশ্চিত করতে হবে অর্থাৎ ক্যাপাসিটরের দু'টি টারমিনাল শর্ট করলে কোনো স্পার্ক না হয় তবে বুঝতে হবে এটি চার্জ মুক্ত।
২. সার্কিট বোর্ড হতে ক্যাপাসিটরটি খুলতে হবে। ৩. মিটারের নবটি কন্টিনিউটি মোডে এ সেট করতে হবে।
৪. মাল্টিমিটার প্রবটি পজেটিভ অংশ ক্যাপাসিটরের পজেটিভ টারমিনালে এবং নেগেটিভ অংশ নেগেটিভ টারমিনালে সংযোগ করতে হবে।
৫. যদি মিটারটি OL (Open Line) অথবা শব্দ করে থেমে যায় তবে ক্যাপাসিটরটি ভাল আছে।
৬. যদি মিটারটি OL অথবা শব্দ না করে তবে ক্যাপাসিটরটি খারাপ আছে।
৭. যদি মিটারটি লাইট অন অথবা অনবরত শব্দ হতে থাকে তবে ক্যাপাসিটরটি শর্ট আছে।
ডায়মন্ড হল একটি সাধারণ পিএন জাংশন এবং দুটি টার্মিনাল ডিভাইস যা এক দিকে ফেরোয়ার্ড বায়াস) কারেন্ট প্রবাহিত করতে দেয়। এটি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিজাইন এবং সিস্টেমে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত উপাদান যেমন রেকটিফায়ার, এলইডি লাইট সম্পর্কিত সার্কিট, ভোল্টেজ মাল্টিপ্লারিং সার্কিট, সোলার প্যানেল, লজিক গেট ইত্যাদি।
ফরোয়ার্ড বায়াসের ক্ষেত্রে ডায়মণ্ডের ভোল্টজ ড্রপ পরিমাপের মাধ্যমে ডায়ড টেস্ট করা হয়। ফরয়োর্ড ৰায়াসে ডায়োড বন্ধ সুইচ হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ কারেন্ট প্রবাহিত হবে এবং কন্ডাক্টর এর মতো ব্যবহার করবে। রিভার্স বায়াসে খোলা সুইচ হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ কারেন্ট প্রবাহিত হয় না এবং রেজিস্টর এর মতো ব্যবহার হবে।
১. সার্কিট হতে ডায়োড খুলতে হবে।
২. মিটারের নবটি ভায়ড টেস্ট মোডে এ সেট করতে হবে।
৩. মাল্টিমিটার প্রবটি পজেটিভ অংশ ডায়ডের পজেটিভ লিড (অ্যানোড) এবং নেগেটিভ অংশ নেগেটিভ লিড (ক্যাথোড) সংযোগ করতে হবে। (ফরোয়ার্ড বায়াস)
৪. যদি মিটারটি ০.৫-০.৮ ভোস্ট (সাধারন সিলিকন ডায়োড) ০.২-০.৩ ডোন্ট (জারমেনিয়াম ভারোড) দেখায় তবে ডায়ডটি ভাল আছে। ফেরোয়ার্ড বায়াস)
৫. মাল্টিমিটার প্রবটি পজেটিভ অংশ ভারতের পজেটিভ লিভ (ক্যাথোড) এবং নেগেটিভ অংশ নেগেটিভ লিড (অ্যানোড) সংযোগ করতে হবে। (রিভার্স বায়াস)
৬. যদি মিটারটি OL (Open Line) দেখায় তবে ডায়ডটি ভাল আছে। (রিভার্স বায়াস)
৭. যদি মিটারটি উভয় কানেকশনে OL (Open Line) দেখায় তবে ভায়োতটি ধারাপ আছে।
৮. যদি মিটারটি উভয় কানেকশনে ০.৪ ভোল্ট দেখায় তবে ভায়োডটি শর্ট আছে।
কোনো পরিবাহীর দুই প্রানের মধ্যে ভোল্টেজ পার্থক্য থাকলে তার মধ্য দিে কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে। এই কারেন্ট প্রবাহের পরিমাণ নির্ভর করে পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য, পরিবাহীর আকৃতি ও উপাদান এবং পরিবাহীর তাপমাত্রার উপর। একটি পরিবাহীর তাপমাত্রার স্থির থাকলে, তার মধ্য দিয়ে যে কারেন্ট প্রবাহিত হয় তা এর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য এবং রেজিস্ট্যান্স-এর উপর নির্ভর করে।
এই সম্পর্কে জর্জ সাইমন ওহম ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দে একটি সূত্র প্রতিষ্ঠা করেন, যা তার নামানুসারে ওহমের সুত্র নামে পরিচিত। সার্কিটের ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স-এর মান নির্ণয় করার জন্য ওহমের সুত্র ব্যবহার করা হয়। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো পরিবাহীর ভিতর দিয়ে যে কারেন্ট প্রবাহিত হয়, তা ঐ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক এবং রেজিস্ট্যান্স-এর ব্যস্তানুপাতিক বা উল্টানুগাতিক।
মনে করি, AB পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব যথাক্রমে VA Vg । পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স R এবং এর ভিতর দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য = VA∼VB=V ওহমের সূত্রানুসারে
I ∝ V…… (i)
... (ii)
কোন পরিবাহকের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য ১ ভোট হলে যদি তার মধ্য দিয়ে ১ অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহ প্রবাহিত হয় তবে ঐ পরিবাহীর রোধকে ১ ওহম বলে। রোধের বিপরীত রাশি হলো পরিবাহিতা।
নির্দিষ্ট উষ্ণতায় যেকোনো পরিবাহীর রোধ এর দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক এবং গ্রন্থচ্ছেদের ব্যস্তানুপাতিক। অভিপরিবাহী (সুপার কন্ডাক্টর) ছাড়া সব পরিবাহীরই কিছু না কিছু রোধ আছে, তা যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন। কোনো একটি বস্তুর রোধ দুইটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। একটি উপাদান অন্যটি আকার।
যখন কোনো বর্তনীতে সবগুলো রোধের প্রথম প্রান্ত একটি মাত্র সাধারণ বিন্দুতে এবং অপরপ্রান্ত অপর একটি মাত্র সাধারণ বিন্দুতে যুক্ত থাকে তখন সে বর্তনীকে বলা হয় সমান্তরাল বর্তনী। সমান্তরাল বর্তনীতে ভার প্রত্যেক উপাদানের বিষৰ পার্থক্য একই থাকে।
১. ইএসডি সতর্কতা বিধি অনুসরণ করতে পারব;
২. সার্কিটে ব্যবহৃত উপাদানসমূহ পরীক্ষার জন্য পরিমাপক যন্ত্র নির্বাচন করতে পারব;
৩. পরিমাপক যন্ত্রের কার্যক্ষমতা চেক করতে পারব;
৪. ইলেকট্রিক্যাল পরিমাপ তথ্যসমূহ নির্দিষ্ট ছকে লিপিবদ্ধ করতে পারব;
৫. ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রাংশসমূহ যথাস্থানে ব্যবহার ও সংরক্ষণ করতে পারব;
৬. কাজের শেষে সকল মালামালসমূহ নির্দিস্ট স্থানে সংরক্ষণ এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারব।
নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
সেফটি সু | সাইজ অনুযায়ী | ১ জোড়া |
গগলস | সাইজ অনুযায়ী | ১টি |
হ্যান্ড গ্লাভস | সাইজ অনুযায়ী | ১ সেট |
অ্যাপ্রন | সাইজ অনুযায়ী | ১টি |
মাস্ক | সাইজ অনুযায়ী | ১টি |
যন্ত্রপাতির নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
ওয়েল্ডিং মেশিন | ডিজিটাল | ১টি |
ওয়্যার ব্রাশ | মানসম্মত | ১টি |
ইলেকট্রোড হোল্ডার | মানসম্মত | ১টি |
চিপিং হ্যামার | মানসম্মত | ১টি |
ট্যাং | মানসম্মত | ১টি |
ইকুইপমেন্ট এর নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
ওয়েল্ডিং মেশিন | মানসম্মত | ১টি |
ইলেকট্রোড হোল্ডার | মানসম্মত | ১টি |
মালামালের নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
ওয়েন্ডিং টেবিল | আদর্শ মানের | ১ সেট |
কাঠের পাটাতন | আদর্শ মানের | ১টি |
ওয়েন্ডিং অব | সরবরাহকৃত | ১টি |
ছবি দেখে ক্লিপ-অন মিটারের সাহাযে নিজে নিজে পরিমাপ কর।
১. কারেন্টের সংজ্ঞা ?
২. ভোল্টেজ বলতে কী বোঝায়?
৩. বৈদ্যুতিক পাওয়ার বলতে কী বোঝায়?
৪. জেনারেটর কাকে বলে?
৫. রোধ কাকে বলে?
৬. রেজিস্ট্যান্স এর ব্যবহারিক একক কী?
১. Ohm's Law গুহলের সুত্র ?
২. Power Factor কাকে বলে?
৩. চোক কয়েল কি?
৪. পরিমাপক এর শ্রেণীবিন্যাস কর।
৫. সিঁরিজ প্যারালাল সার্কিটের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ।
১. নিচের চিত্রের প্রতিটি লোডের কারেন্ট ও ভোল্টেজ এবং সমভুক্ত রোধের মান নির্ণয় কর।
২. এসি ও ডিসি কারেন্টের মধ্যে পার্থক্য ককি?
৩. তিনটি রোধ বিশিষ্ট বর্তনী অঞ্চল করে উহার সমতুল্য রোধ নির্ণয় কর।
৪. একটি ৩০ ওয়ার্ড বাপ্তির রেজিস্ট্যান্স ৬৫০ ওহম। নাভিটিকে ২২০ ভোস্ট সরবরাহ করলে উহার মধ্য দিয়ে কী পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত করৰে?
৫. ওহমের সূত্রটি বর্ণনা কর ।
প্রায় প্রত্যেকের বাসা-বাড়িতেই কোনো না কোনো ঘূর্ণায়মান যন্ত্রপাতি থাকে। যেমন- সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান, প্যাডেস্টাল ফ্যান, পানির পাম্প, বৈদ্যুতিক মটর, বাই সাইকেল, ব্রান্ডার ইত্যাদি। এছাড়া বাজারে বা আশে পাশে ধান, গম, ভুট্টা, হলুদ, মরিচ ইত্যাদি ভাঙ্গানোর মেশিন দেখা যায়। এগুলোর প্রত্যকটিতেই চালক ও চালিত অংশ থাকে। যেমন- টেবিল ফ্যানের মটরের সাথে ফ্যান বা পাখা, পানির পাম্পের সাথে ইলেকট্রিক মটর। এ অধ্যায়ে আমরা এসকল অংশসমূহের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন পূর্বক কার্যক্ষম করার জন্য কী, কাপলিং ও বিয়ারিং সংশ্লিষ্ট যে যান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকে তা শিখব।
কোনো যন্ত্রাংশ যেমন- ফ্যান রেড, পীয়ার, পাম্প ইস্পেন্সার, ব্রাহ্মার ব্রেড, বিয়ারিং (Bearings), হাব (Hub), ক্যাম ইত্যাদি শ্যাফটের সাথে একই দিকে ও সমগতিতে ঘোরানোর জন্য এদের সংযোগস্থলে অক্ষের সমান্তরালে কী-গুয়ে বা বাঁজকাটা অংশে স্টিলের তৈরি যে ধাতুব বকে প্রবেশ করে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করা হয় তা-ই কী বা চাৰি। চাৰি ঘূর্ণায়মান মেশিন শ্যাফটের সাথে কোনো যন্ত্রাংশ সংযুক্ত করতেই ব্যবহৃত হয়।। এ ধরনের চাবি দুই পার্শ্ব সমান্তরাল এবং মাথাযুক্ত মাথাবিহীন উভয় প্রকার হয়ে থাকে। কী সঠিকভাবে কাজ করার জন্য, শ্যাষ্ট এবং ঘূর্ণামান অংশ (বিষার, পুলি এবং কাপলিং) উভয়েরই কী-গুবে ও কী সিট থাকে।
কাপলিং এমন এক ধরনের যান্ত্রিক ব্যবস্থ যা দু'টি শ্যাষ্টকে অর্থাৎ চালক শ্যাফট থেকে চালিত শ্যাফটে সঠিকভাবে শক্তি সরবরাহ করতে একসাথে সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহার হয়। কাপলিং এমন ধরনের ডিভাইস যা শক্তি প্রেরণের জন্য দুটি শ্যাফট এর প্রান্ত একত্রে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। কাপলিং এর মুল উদ্দেশ্য হল ঘূর্ণায়ান সরঞ্জামসমূহ সংযুক্ত করা। শ্যাফট সাধারণত ৬ মিটার হতে ১০ মিটার এর মধ্যে সহজে শক্তি স্থানান্তরিত করতে ব্যবহৃত হয়। দৈর্ঘ্য বড় করার জন্য কাপলিং করার প্রয়োচ্ছন হয়। ফলে উক্ত রেঞ্জের মধ্যে রেখে কাপলিং করে শ্যাফটের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে টর্ক ও শক্তি প্রেরণ করা যায়।
আকৃতি ও কী স্থাপন ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে নিম্নরূপভাগে ভাগ করা যায়-
যখন একটি চাবি শ্যাফটের অর্ধেক অংশ এবং হাবের অর্ধেক অংশের সাথে স্থাপন করা হয়, তখন এধরনের কী সাঙ্ক কী নামে পরিচিত। অনেক ধরনের সাঙ্ক কী রয়েছে। যেমন-
আয়তাকার কীগুলোর উচ্চতার চেয়ে প্রশস্ত বড় হয়। কখনও কখনও আয়তাকার সাঙ্ক কী-কে সমতল কী বলা হয়ে থাকে। এগুলো প্রায় ৫০০ মিমি ব্যাস পর্যন্ত শ্যাফটে ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের কী এর গভীরতা না বাড়িয়ে অতিরিক্ত কী প্রস্থ ব্যবহার করে বৃহত্তর টর্ক প্রেরণ করা যায়।
সাধারণত ২৫ যিনি পর্যন্ত শ্যাফটের জন্য এগুলি ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের কী আয়তাকার কী এর তুলনায় গভীর তাই এগুলি বড় শ্যাকটের জন্য ব্যবহার করা হয়।
টেপার ছাড়াই সমান্তরাল সাক্ষ কীগুলো আয়তাকার বা বর্গাকার হতে পারে। এই কীগুলো সভা এবং হওয়ায় ইনস্টল করা সবচেয়ে সহজ। কারণ কম্পন বা ঘূর্ণন ফলে কীটিকে বাইরের দিকে ঠেলে দেয়া এই কীগুলো সাধারণত শ্যাষ্ট কাওয়ের নীচে এবং কী জয়েন্টের পাশে শক্তভাবে লাগানো হয় এবং যাব কী-গুয়ের শীর্ষে রাখা হয়।
গিৰ হেডেড সাঙ্ক কীগুলো খোলা সহজ ভাই ব্যবহার অনেক সুবিধা। এগুলো সাধারণত আয়তাকার বা বর্গাকার হয়ে থাকে। কীগুলোর উপরের পৃষ্ঠে টেপার করা থাকে যাতে সহজে ও ভালভাবে ফিট করা যায় ।
পালক সাঙ্ক কী দেখতে প্যারামান কী এর মতো কিন্তু এর দুই প্রাপ্ত অর্থ-ব্যাস করা থাকে। এগুলো গুলির শ্যাফটের মধ্যস্থলে ক্ষু সেট দিয়ে আটকানো হয় এবং অক্ষ বরাবরে স্থাপনের জন্য পালক কী এর খাস বা হাবের সাথে সংযুক্ত থাকে। এ ধরনের কী শ্যাফট ও হাবের মধ্যে এর সমান্তরাল ও বিপরীত মুখ বরাবরে শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম এবং একই সাথে এটিকে স্লাইড করা যায়।
এ ধরনের কীপুলো খুবই কম ব্যবহার করা হয়। কারণ এগুলো উচ্চ টর্ক প্রেরণ করতে পারে না এবং স্যাডলে থানের ব্যবস্থা থাকে না বরং এটি ঘর্ষণ দ্বারা খাদটিকে ধরে রাখে। স্যাডল কী দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন-
এ ধরনের কী এর উপরের দিকে টেপার করা থাকে। চাবি ও শ্যাফটের সমতল মুখের দিক নিচের দিকে টেম্পারড হাৰ কী-ওয়েতে ফিট করা হয়।
এ ধরনের কী এর উপরের দিকে টেপার করা থাকে এবং নীচের দিকে হালকা বৃত্তাকার হয়। এগুলো টেম্পারড হাব কী ওয়েতে ফিট করা হয় এবং শ্যাফটের বৃত্তকার পরিধির পৃষ্ঠের নীচে চাপ দিয়ে লাগোনি হয়।
এ ধরনের কী ভারী যন্ত্রপাতির জন্য ব্যবহৃত হয়। স্পর্শক কী জোড়া করার ক্ষেত্রে একে অপরের সাথে সমকোণে এবং শ্যাফটের পৃষ্ঠের স্পর্শক হিসাবে অবস্থান করে। এগুলো শুধুমাত্র এক দিকে টর্শন সহ্য করতে পারে। বিশেষ ক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার করা হয়।
এ ধরনের কী বৃত্তাকার গর্ভবিশিষ্ট স্থানে ফিট করা হয়। বৃত্তাকার কীগুলো শ্যাফটের অর্ধেক অংশের ছিদ্রে এবং বাকি অর্ধেক অংশ হাবের মধ্যে স্থাপন করা হয়। এই ধরনের কীগুলো সাধারণত কম শক্তির ড্রাইভের জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে।
যখন কোনো কী খাদ বা হাবের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয় তখন এ ধরনের কীসমূহকে প্লাইন্স কী ৰা স্মাইল শ্যাফট কী বলা হয়। এগুলো বিশেষ কাজে ব্যবহৃত হয় যেমন- কোনো শ্যাফটের আকারের চেয়ে বড় অংশে টর্ক প্রেরণ করতে। সাধারণত অটোমোবাইল ট্রান্সমিশনে, স্লাইডিং গিয়ার ট্রান্সমিশনে স্মাইল কী ব্যবহার করতে দেখা যায়।
জেনারেল মেকানিক্স কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশসমূহে কাপলিং করতে বিভিন্ন ধরনের কাপলিং ব্যবহৃত হয়ে থাকে । যেমন-
বীম কাপলিং-কে হেলিক্যাল ( Helical) কাপলিং বলা হয়। এটি ফ্লেক্সিবল (Flexible) কাপলিং ব্যবস্থা যেখানে দুটি শ্যাফটের মধ্যে শক্তি বা টর্ক সরবরাহের জন্য একটি শ্যাফটের সাথে অন্য কোনো শ্যাফটের কৌণিক মিসলাইনমেন্ট (Misalignment) বা সমান্তরাল অফসেট (Parallel Offset) থাকলেও সমস্যা হয় না এবং অক্ষীয় গতি সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এ ধরনের কাপলিং-কে বক্স কাপলিংও বলা হয়। এটি স্লিভ বা ফাঁপা সিলিন্ডার দিয়ে তৈরি করা হয় যা শ্যাফটের ইনপুট ও আউটপুট প্রান্তে অদৃশ্যমান চাবির সাহায্যে লাগানো থাকে। কাপলিং ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে বোরে একটি কী-ওয়ে তৈরি করা হয় যাতে চাবির মাধ্যমে টর্ক প্রেরণ করা যায়।
স্প্রিট মাফ কাপলিংকে কম্প্রেশন কাপলিং বা ক্ল্যাম্প কাপলিংও বলা হয়। এটি খুবই দৃঢ় (Rigid) কাপলিং দু'টি হাব দিয়ে এই কাপলিং এর স্লিভ তৈরি করা হয়। সাধারণত এ কাপলিং এর হাবসমূহ ঢালাই লোহা দিয়ে তৈরি করা থাকে। মাফের অর্ধেকাংশ নিচের দিক থেকে এবং অন্য অর্ধাংশ উপর দিক থেকে একসাথে আটকানো হয়।
ফ্ল্যাঞ্জ কাপলিং হল ঘূর্ণায়মান শ্যাফটের মধ্যে একটি ড্রাইভিং কাপলিং যা দু'টি ফ্ল্যাঞ্জনিয়ে গঠিত। এ কাপলিং এর প্রতিটি শ্যাফটের শেষে স্থাপিত ফ্ল্যাঞ্জসমূহ একসাথে কয়েকটি বোল্টের মাধ্যমে আটকানো হয়।
ডিস্ক কাপলিং হলো দু'টি ল্যাফটের যান্ত্রিক সংযোজন ব্যবস্থা। যেখানে চালক অংশের শক্তি চালিত অংশে যথাযথভাবে পরিবর্তন হয়। এ পদ্ধতিতে কয়েকটি পাতলা স্টেইনলেস স্টিলের ডিস্ক একত্রিত করার মাধ্যমে বোস্টের সাহায্যে টর্ক প্রেরণ করা হয়।
বুশ পিন-টাইপ কালন্সিং মূলত ফ্ল্যাজ কাপলিং এর উন্নতরূপ। এ ধরনের কাপলিং ব্যবস্থায় বোল্টের পরিবর্তে রাবার বুশিং এর সাথে পিন ব্যবহৃত হয়। রাবার বুশিং কাপলিং সিস্টেম সহজতর করে এবং শক ও কম্পন শোষণ করতেও সাহায্য করে।
ডায়াফ্রাম কাপলিংয়ে এক বা একাধিক ধাতব ঝিল্লি থাকে যা একটি ড্রাইভ ফ্ল্যাজের বাইরের ব্যাসে সংযুক্ত থাকে এবং ডায়াফ্রামের মাধ্যমে একটি ইনসাইড ডায়ামিটার অ্যাটাচমেন্টের সাহায্যে রেডিয়ালি টর্ক স্থানান্তর করে থাকে।
গ্রিড কাপলিং হল মাল্টি-পিস মেকানিক্যাল শ্যাফট কাপলিং যা যান্ত্রিক পাওয়ার ট্রান্সমিশন অ্যাসেম্বলিতে শ্যাফটের মধ্যে টর্ক এবং ঘূর্ণন ট্রান্সমিট করতে ব্যবহৃত হয়।। এক্ষেত্রে পরস্পর সংযুক্ত শ্যাফটসমূহের মধ্যে সংঘটিত প্রান্তিককরণ ও সামান্য তারতম্যের কারণে সৃষ্ঠ হালকা শক শোষণ করতে পারে।
রোলার চেইন কাপলিং এমন এক যান গঠিত পরিবর্তিত স্প্রোকেটের সমন্বয়ে টিস্ট্র্যান্ড রোলার চেইন এবং দু- হয়ে থাকে। ছোট আকার থাকা সত্ত্বেও নকশাটি সহজ এবং অত্যন্ত কার্যকরী, এবং এটি একটি শক্তিশালী চেইন এবং বিশেষভাবে কাটা, শক্ত দাঁতের স্প্রোকেট দ্বারা গঠিত যা উচ্চ পরিমাণে টর্ক প্রেরণ করতে দেয়।
দুটি শ্যাফটের মধ্যে টর্ক প্রেরণ করার জন্য গিয়ার কাপলিং ডিজাইন করা হয় যা সমরেখায় থাকে না। এগুলোতে সাধারণত দুটি ফ্লেক্সিবল জয়েন্ট থাকে যা প্রতিটি শ্যাফট স্থির থাকে এবং তৃতীয় শ্যাফট দ্বারা সংযুক্ত থাকে।
টায়ার কাপলিং হলো টরশোনালী নরম (Torsionally Soft) ও ফ্লেক্সিবল বডিসহ এক ধরনের শ্যাফট কাপলিং যা মিসএলাইনমেন্ট এর কারনে উদ্ভূত ত্রুটিসমূহ দূর করে ট্রান্সমিশন সিস্টেমের অন্যান্য অংশকে রক্ষা করে। টায়ার কাপলিংগুলো অত্যন্ত নমনীয় এবং টরসিয়াল ব্যাকল্যাশ মুক্ত। এর টরসিয়াল দৃঢ়তার কারণে বিশেষ কাপলিং ব্যবস্থার জন্য ব্যবহৃত হয়।
'জ' কাপলিং (Jaw Couplings ) : ‘জ' কাপলিং হলো সাধারণ কাজে ব্যবহৃত এক ধরণের পাওয়ার ট্রান্সমিশন কাপলিং যা গতি নিয়ন্ত্রণ (সার্ভো) অ্যাপ্লিকেশনগুলিতেও ব্যবহার করা হয়। এটি ড্যাম্পিং সিস্টেম (Damping System) এবং মিস্যালাইনমেন্টকে সমন্বয় করে শ্যাফটে টর্ক প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর জো জোড়া তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত: দুটি ধাতব হাব এবং একটি ইলাস্টোমার, যাকে মাকড়সাও বলা হয়।
ওল্ডহেম কাপপ্লিং (Oldham Coupling):
ওল্ডহ্যাম কাপলিং হলো একটি তিনপিস অ্যাসেম্বলি যা দু'টি হালকা ওজনের অ্যালুমিনিয়াম বা ক্ষয় প্রতিরোধী স্টেইনলেস স্টীলের হাব এবং সেন্টার ডিস্ক নিয়ে গঠিত। যেখানে শ্যাফটদ্বয় একই অক্ষে অবস্থান করে না সেখানে ওল্ডহ্যাম কাপলিং ব্যবহৃত হয়। হাবের টেননগুলো ডিস্কের স্লটের সাথে সামান্য প্রেসার ফিট করে, যা কাপলিংকে শূন্য ব্যাকল্যাশের সাথে কাজ করতে দেয়। ওল্ডহ্যাম কাপলিংগুলো সাধারণত সার্ভো চালিত সিস্টেমে ব্যবহৃত হয় যার জন্য সুনির্দিষ্ট গতি নিয়ন্ত্রণ এবং কম জড়তা সুষম নকশা প্রয়োজন।
ইউনিভার্সেল কাপলিং (Universal Coupling) :
সর্বজনীন বা ছক কাপলিং দু'টি শ্যাফটকে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয় যার অক্ষগুলো একটি ছোট কোণে ছেদ করে। দুটি শ্যাফটের বাঁক ধ্রুবক হতে পারে, কিন্তু প্রকৃত অনুশীলনে, যখন ভরবেগ এক শ্যাফট থেকে অন্য খাদে স্থানান্তরিত হয় তখন এটি পরিবর্তিত হয়।
বেলোজ কাপলিং (Bellows Coupling) :
বেলোস কাপলিং একটি বিশেষ ধরনের কাপলিং ব্যবস্থা এর কারণ এতে ব্যতিক্রমী টর্সনাল দৃঢ়তার মাধ্যমে কৌণিক অবস্থান, সঠিক বেগ এবং টর্ক স্থানান্তর করে থাকে।
ফ্লুইড কাপলিং (Fluid Coupling) :
ফ্লুইড কাপলিংকে হাইড্রোলিক কাপলিংও বলা হয়। এটি একটি তরল-গতিয় ডিভাইস যা তরল প্রবাহীর ত্বরণ ও মন্দপ এর মাধ্যমে ঘূর্ণন যান্ত্রিক শক্তি সরবরাহ করে। এর চালক শ্যাফট ইম্পেলার এবং চালিত শ্যাফট রানার হিসেবে গঠিত। ইম্পেলার অংশটি পাম্প হিসেবে এবং রানার অংশটি টারবাইন হিসেবে কাজ করে। ইম্পেলার অক্ষের নিকটে স্পর্শক অংশের ভরলের গতি কম এবং ইম্পেলার অক্ষ থেকে পরিধির দিকে তরলের গতি সর্বাধিক থাকে। ইম্পেলার কর্তৃক এই বৃদ্ধি প্রাপ্ত গতিশক্তি রানার রেডকে আঘাত করে শক্তি সরবরাহ করে। রানার থেকে প্রবাহী বের হওয়ার সময় গতি কমে যায় ।
মেশিনিং এর ক্ষেত্রে কাটিং টুল শক্ত মেটালের তৈরি করা হয়, ফলে সহজেই এর দ্বারা কার্যবস্তুর ধাতু কর্তন এবং আকারের পরিবর্তন করা যায়। কার্যবস্তু ধাতু উপর নির্ভর করে কাটিং টুলের ধাতু নির্বাচন করা হয়। অন্যদিকে মেশিনিং প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে কাটিং টুল নির্বাচন করা হয়। সাধারণত কার্যবস্তু কাজের ধরণ ও ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে ধাতু নির্বাচন করা হয়ে থাকে। কাটিং প্রক্রিয়ার টুল-চিল এবং টুল-ওয়ার্কশিস এই দুয়ের সংযোগ পৃষ্ঠ তলে সরাসরি কার্য সম্পাদন করা হয়ে থাকে। এ সংযোগ স্থলে প্রক্রিয়াকে ট্রাইবালজী প্রক্রিয়া বলা হয়। সাধরণত মেশিনিং ক্ষেত্রে কার্যবস্তুর জন্য ফেরাস এবং নন-ফেরাস মেটাল ব্যবহার করা হয়। প্রত্যেকটি ধাতুর বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। মেশিনিং প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে তিন ধরণের মেটাল বা ধাতু ব্যবহার করা হয়। ক) ধাতু খ) প্লাস্টিক গ) কম্পোজিট মেটাল।
কী সাধারণত মাইন্ড স্টীলের টুকরা যা শ্যাফট ও হাবের মাঝে স্থাপন করা হয়। কী সবসময় শাফিটের অক্ষের সমান্তরালে বসানো থাকে। একটি আয়তাকার সাঙ্ক কী লে-আউট ও পরিমাপ পদ্ধতি দেওয়া হলো। কী এর গ্রন্থ, w = d/4 চাবির পুরুত্ব, t2w/3 = d/6, এখানে d = শ্যাফট বা হাব এর গর্ভের ব্যাস।
গিব হেড সাঙ্ক কী- এটা একটি আয়তাকার সাঙ্ক কী যার এক প্রান্তে হেড অবস্থিত। এই হেডের কারণে শ্যাফট হতে কী বিচ্ছিন্ন করা সহজ হয়। একটি গিব হেড কী লে-আউট ও পরিমাপ পদ্ধতি দেওয়া হলো। কী এর প্রস্থ, w = d/4 বড় প্রান্তের পুরুত্ব, T=2w/3 = d/6, এখানে d = শ্যাফট বা হাব এর গর্তের ব্যাস
প্রতিটি যান্ত্রিক সিস্টেমে বিভিন্ন মেশিন উপাদানের মধ্যে আপেক্ষিক গতি অন্তভুক্ত। ধর্ষণে শক্তি অপচয় ও স্পর্শক তলে ক্ষয়ের অবনতির কারণে আপেক্ষিক গতি বৃদ্ধি পায়। বিয়ারিং হল এমন ধরনের যন্ত্রাংশ যা এক যন্ত্রাংশ থেকে অন্য যন্ত্রাংশে লোড স্থানান্তরে ঘর্ষণ কমায় ফলে আপেক্ষিক গতি বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, একটি ট্রান্সমিশন শ্যাফট ও হাউজিং এর মধ্যে আপেক্ষিক থাকে, যেখানে বিয়ারিংসমূহ শ্যাফটের সাপোর্ট পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। শ্যাফট ও হাউজিংএ লোড স্থানান্তরের সময় এদের মধ্যে ধর্ষণের কারণে বিদ্যুতের অপচয় কমাতে সাহায্য করে।
রোলিং এলিমেন্ট হিসাবে বিয়ারিং-কে প্রধানত দুটিভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন-
• বল বিয়ারিং ও
• রোলার বিয়ারিং
বল বিয়ারিং সর্বধিক ব্যবহৃত সাধারণ বিয়ারিং যা দুটি ধাতব রিং এর মধ্যে বল আকারে অবস্থিত। আর এ ধাতব রিং-কে রেস বলে, একটি বাইরের রেস অন্যটি ভিতরের রেস। বলগুলোকে নির্দিষ্ট অবস্থানে রাখতে যে ধাতব রিং বা আচ্ছাদন ব্যবহার করা হয় তাকে কেস বলে। বিয়ারিং ব্যবহারে শক্তির অপচয় কম হয়। ভিতরের রেসটি মুক্ত অবস্থায় ঘুড়ে এবং বাইরের রেসটি স্থির অবস্থায় থাকে। ভিতরের রেসটি শ্যাফট এর সঙ্গে লাগনো হয় এবং বাইরের রেসটি মটরের সাথে লাগানো থাকে। বল বিয়ারিং কম বাধা প্রদানে, সহজে পরিবর্তনযোগ্য, কম দামে, অধিক লোড বহনে, দির্ঘায়ু ব্যবহারে সহায়তা প্রদান করে থাকে। এটি ঘূর্ণনে কম শব্দ হয়। ব্যবহারের দিক বিবেচনায় বল বিয়ারিং কে নিম্নলিখিতভাবে ভাগ করা যায় :
ক) ডিপ-গ্রুভ বল বিয়ারিং
খ) সিঙ্গেল রো এঙ্গুলার কন্ট্যাক্ট বিয়ারিং
গ) সেলফ-এলাইনিং বিয়ারিং
২.৪.২ রোলার বিয়ারিং (Roller Bearing): রোলার বিয়ারিং বল বিয়ারিং এর মত কাজ করে থাকে তবে বল বিয়ারিং এর তুলনায় অধিক লোড বহন করতে পারে এবং অধিক আনুভূমিক মোডে অবস্থান করতে পারে। রোলার বিয়ারিং সিপিক্ষিক্যাল বা ট্যাপার টাইল হতে পারে।
রৈখিক বিয়ারিং এ দুটি রেসের মধ্যে বল বা ঘূর্ণায়মান উপাদান থাকে তবে এটি যেকোনো উপাদানকে রৈখিক গতি দিতে ব্যবহৃত হয়। লিনিয়ার বিয়ারিংয়ের সহজ উদাহরণ হল স্লাইডিং ডোর, আলমারির ড্রয়ার ইত্যাদি।
যেখানে ঘড়ি এবং মিটারের মতো খুব ছোট শ্যাফট থাকে সেখানে এটি ব্যবহার করা হয়। এটি আকারে খুব ছোট এবং অন্যান্য বিয়ারিংয়ের তুলনায় খুব সুক্ষ কাজ করে। এটি নির্দিষ্ট উপকরণ থেকে তৈরি করা হয়।
২.৪.৫ প্লেইন বিয়ারিং (Plain Bearing) : টি ভারবহনের সবচেয়ে সহজ প্রকার। এটি একটি ভারবহন পৃষ্ঠ নিয়ে গঠিত এবং এতে কোনো ঘূর্ণায়মান উপাদান থাকে না। শ্যাফটি বিয়ারিং হোলের ভিতরে ঘুরছে। এটি স্লাইডিং ঘর্ষণ প্রদান করে যা ঘূর্ণায়মান ঘর্ষণ থেকে বেশি। এর একটি উদাহরণ হল ভারবহন পৃষ্ঠের ভিতরে শ্যাফট ঘূর্ণায়মান।
২.৪.৬ ফ্লুইড বিয়ারিং (Fluid Bearing): এটি হল বিপ্লবী ধরণের বিয়ারিং যা ধাতব বিয়ারিংগুলো প্রতিস্থাপন হিসেবে কাজ করে। এখানে ভরলটি দুই- উপাদানের সংস্পর্শে আসে যা বর্ষপকে হ্রাস করে। তরল চালের কারণে, দুটি উপাদান সর্বদা আলাদা থাকে এবং সংস্পর্শে আসে না। এটি অন্য যেকোনো খাত বিয়ারিংয়ের তুলনায় খুব কম শব্দ এবং কম্পন প্রদান করে।
২.৪.৭ মেগনেটিক বিয়ারিং(Magnetic Bearing):
এটি একটি খুব জনপ্রিয় বিয়ারিং কারণ ঘূর্ণায়মান উপাদানের গভির কোন সীমা নেই। দুটি ধরণের চৌম্বকীয় বিয়ারিং পাওয়া যায় একটি হল সক্রিয় বা অ্যাক্টিভ এবং অন্যটি প্যাসিভ। অ্যাক্টিভ টাইপে যা অবস্থানের বাইরে চলে যাওয়ার সাথে সাথে স্ট্যান্টকে কেন্দ্রে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বৈদ্যুতিক চুম্বক ব্যবহার করে চালু করা হয়। প্যাসিভ টাইপে স্থায়ী চুম্বক ব্যবহার করি যা ডিজাইন করা কঠিন।
নিম্নলিখিত কারণসমূহের জন্য বিয়ারিং এর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য;
ক) এটা ঘর্ষণজনিত বাধাকে কমাতে সাহায্য করে।
খ) এটা শ্যাফটকে একই অক্ষে নিয়ন্ত্রণ করে ঘুরতে সহায়তা করে।
গ) এটা শ্যাফটকে ধারন করে থাকে।
ঘ) এটা যে কোনো প্রকার ভার ও ঘর্ষণের ক্ষেত্রে উপযোগী হয়।
ঙ) এটা ব্যবহারে শ্যাফটের কোনোরূপ ক্ষতির আশংকা থাকে না।
বিয়ারিং-এ ব্যবহৃত লুব্রিক্যান্টসমূহ নিম্নে প্রদত্ত হলো:
ক) তেল খ) গ্রিজ গ) এয়ার/ গ্যাস
ক) কাজ শেষে এটাতে প্রয়োজন মতো তেল জাতীয় পদার্থ দিয়ে রাখতে হয় যাতে মরিচা না পড়ে।
খ) বিয়ারিং-এর উপর বেশি চাপ না পড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। হাউজিং-এ বিয়ারিং ক্যাপ শক্তভাবে ফিট থাকতে হবে।
গ) যে সকল মেশিনে বিভিন্ন প্রকার রিয়ারিং ফিট করা থাকে, মেশিন চালনা করার পূর্বে বিয়ারিংগুলোতে গ্রীজ বা তেল জাতীয় দ্রব্য দিয়ে কাজ করতে হয়।
ঐ
ঘ) মেশিনে কাজ করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ঘর্ষণ বিয়ারিংগুলোর তাপমাত্রা ৬০ সেন্টিগ্রেড থেকে ৭০ সেন্টিগ্রেডের বেশি না হয়।
ঙ) বিয়ারিং ক্লিয়ারেন্স চেক করে দেখতে হবে।
চ) লুব অয়েলের প্রকৃত ভিসকোসিটি থাকা উচিত।
১. বিয়ারিং শনাক্ত করতে পারব;
২. বিয়ারিং এর টুল শনাক্ত করতে পারব;
৩. বিয়ারিং শ্যাফটের মধ্যে লাগাতে পারব;
৪. শ্যাফটে বিয়ারিং সংযোজন ও বিয়োজন করতে পারব;
৫. কাজের শেষে সকল মালামালসমূহ নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারব;
সুরক্ষা সরঞ্জামের নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
সেফটি স্যু | মানসম্মত | ১ জোড়া |
গগলস | মানসম্মত | ১টি |
হ্যান্ড গ্লাভস | মানসম্মত | ১ জোড়া |
অ্যাপ্রন | সাইজ অনুযায়ী | ১টি |
মাস্ক | সাইজ অনুযায়ী | ১টি |
যন্ত্রপাতির নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
ফ্লাট স্ক্রু ড্রাইভার | ৬ ইঞ্চি | ১টি |
ফিলিপস স্ক্রু ড্রাইভার | ৬ ইঞ্চি | ১টি |
বল পিন হ্যামার | ৮ ইঞ্চি | ১টি |
রাবারের হ্যামার | ৮ ইঞ্চি | ১টি |
মালামালের নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
ডাস্টার ক্লথ | সুতি কাপড়ের | পরিমানমত |
বিয়ারিং | মানসম্মত | ১ সেট |
লুব ওয়েল | এস এই ৩০ | অর্ধ লিটার |
WD40 (মরিচা প্রতিরোধক) স্প্রে | স্প্রে কন্টেইনার | ১টি |
কিছু বলসহ বোতল | পরিবর্তন যোগ্য বল | ১২টি বলসহ বোতল |
তরল ফ্লোর পরিষ্কারক পদার্থ | পরিষ্কারক পদার্থ | ১টি |
সাবান যুক্ত গরম পানি | গরম পানি এবং সাবান | পরিমানমত |
১. মালামালের তালিকা অনুযায়ী যন্ত্রপাতি, ইকুইপমেন্ট ও মালামাল সংগ্রহ করি।
২. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম সংগ্রহ ও পরিধান করি।
৩. প্রথমে হুইল বা শ্যাফট হতে সকল বিয়ারিং খুলতে হবে।
৪. বিয়ারিং এর উপরে অংশে বসানো প্লাস্টিক কভারটি খুলতে হবে।
৫. বিয়ারিং খুলার সময়ে বল বিয়ারিং এবং কেস এর মধ্যে ছোট স্ক্রু ড্রাইভার প্রবেশ করে হালকা ভাবে উপরের দিকে চাপ দিয়ে খুলতে হবে।
৬. তারপর রাবার সিল খুব সহজে ত্রু ড্রাইভার দিয়ে বের করে আনতে হবে।
৭ ইনার সার্কেল হতে বল বের করে ফ্লোর পরিষ্কারক পদার্থের বোতলে বলগুলো রাখতে হবে।
৮. তারপর বোতলের মুখ লাগিয়ে ঝাকি দিতে হবে এবং বলগুলো দেখতে হবে বলের পৃষ্ঠদেশে কোন
দাগ পড়েছে কিনা। যদি দাগ থাকে তবে পরিবর্তন করতে হবে। ৯. সিলগুলো সাবান যুক্ত গরম পানিতে পরিষ্কার করতে হবে।
১০. তারপর সিল এবং বলগুলোকে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে শুস্ক করতে হবে।
১১. পরবর্তীতে উক্ত সিল এবং বলগুলোকে WD40 স্প্রে দিয়ে ভালভাবে স্প্রে করতে হবে যাতে মরিচা না ধরে।
১২. এরপর ছবি অনুযায়ী পিছন দিক হতে এক এক করে পার্টস সংযোজন করতে হবে।
• কাজ করার সময় অব্যশই পিপিই পরিধান করতে হবে।
• সঠিকভাবে টুলসের ব্যবহার নিশ্চিত হতে হবে।
• কাজের সময় অমনোযোগী হওয়া যাবে না।
• যদি বোঝতে সমস্যা হয় তবে শিক্ষক এর সহায়তা নিতে হবে।
• শিক্ষক এর অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো কাজ করা যাবে না।
বল বিয়ারিং খুলতে এবং সংযোজন করতে পারবে।
এজাতীয় কাজ ও অন্যান্য বল বিয়ারিং খোলা এবং সংযোজন করতে পারবে।
১. কাপলিং বলতে কী বোঝায়?
২. হাব বলতে কী বোঝায়?
৩. পুলির তুলনায় গিয়ারে অধিকতর শক্তি সরবরাহে হয় কেন?
৪. কী (Key) বা চাবি বলতে কী বোঝায়?
৫. বিয়ারিং কত প্রকার ও কি কি?
১. কী বা চাবি ব্যবহারের উদ্দেশ্য লেখ।
২. বিভিন্ন প্রকার সাঙ্ক চিত্রসহ ব্যবহার লিখ।
৩. বিয়ারিং ব্যবহারের সুবিধা কী?
১. চাবি কত প্রকার ও কি কি? প্রত্যেক প্রকারের বর্ণনা দাও।
২. বিভিন্ন প্রকার কাপলিং এর চিত্রসহ বর্ণনা করো।
মনে করো একটি আয়তাকার প্লেট এর মাঝে পিন রেখে প্লেটটি বসাও, দেখবে প্লেটটি ডানে-বামে বা সামনে- পিছনে নড়া-চড়া করতে পারে। এখন এ প্লেটটির নীচে তিনটি অবস্থানে পিন বসাও দেখবে প্লেটটি আড়াআড়ি নড়া-চড়া করতে পারে। আবার প্লেটটির আড়াআড়ি পাশে আরও দুটি এবং লম্বা-লম্বি পাশে একটি সাপোর্ট বসাও, দেখবে প্লেটটি আর কোন পাশে নড়া-চড়া করতে পারছে না। অর্থাৎ প্লেটটিকে সঠিক অবস্থানে রেখে সুক্ষভাবে মেশিন অপারেশন করার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটাই জিগ এবং ফিক্সচার। যেখানে অনেকগুলি একই কাজ একই মেশিন অপারেশন মাধ্যমে করা হয় সেখানে জিগ এবং ফিক্সচার ব্যবহার করা হয়। কাজের সুবিধার্থে সহজ সজ্জায়ন এবং ইউনিট খরচ কম হওয়ার উপর নির্ভর করে সফলভাবে যে কোন ব্যাপক উৎপাদন করা সম্ভব। সহজ ও দ্রুত উৎপাদন পদ্ধতি বস্তুর অবস্থানের উপর নির্ভর করে সঠিকভাবে মেশিন পরিচালনা করা। জিপ ও ফিক্সচার হচ্ছে একটি উৎপাদন সরঞ্জাম যা ডুপ্লিকেট এবং বিনিময়যোগ্য উৎপাদন অংশ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। অধিক সংখ্যক উৎপাদন এবং একইভাবে একত্রে বিনিময়যোগ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে জিগ ও ফিক্সচার ডিজাইন করা হয়। বিনিময়যোগ্যতা বলতে সঠিক সহনশীলতার মধ্যে তাদেরকে একত্রে ফিট করতে এবং এলোমেলো সমাবেশের জন্য উপাদান নির্বাচনে সামর্থতা বুঝায়।
জিগ হল একটি ওয়ার্ক-হোল্ডিং ডিভাইস যা ওয়ার্কপিসকে ধরে রাখে, সমর্থন ও শনাক্ত করে এবং একটি নির্দিষ্ট অপারেশন করার জন্য এক বা একাধিক টুল গাইড করে। জিগ' সাধারণত গাইডিং বা অন্যান্য কাটিং টুলকে বুশিংসহ শক্ত ইস্পাত দিয়ে লাগানো হয়। জিগ হচ্ছে অন্য টুলের অবস্থান এবং গতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত টুল। জিগের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল পুনরাবৃত্তিযোগ্যতা, নির্ভুলতা এবং পণ্য উৎপাদনের মধ্যে বিনিময়যোগ্যতা প্রদান করা। অর্থাৎ এটি এমন একটি ডিভাইস যা উভয় ফাংশন (কাজ ধরে রাখা এবং একটি টুল গাইড করা) করে থাকে। একটি জিগের উদাহরণ হল যখন একটি কী ডুপ্লিকেট করা হয়, আসলটি একটি জিগ হিসাবে ব্যবহৃত হয় আর নতুন কীটি আসলটির মতো একই পথে থাকতে পারে।
ফিক্সচার হল ওয়ার্ক হোল্ডিং ডিভাইস, যা ওয়ার্কপিসকে ধরে রাখে, সমর্থন ও শনাক্ত করে কিন্তু একটি নির্দিষ্ট অপারেশন করার জন্য কাটিং টুলকে গাইড করে না। অন্য কথায়, ফিক্সচারগুলি কেবলমাত্র কাজের হোল্ডিং ডিভাইস যা যে কোনও অপারেশন করার জন্য ওয়ার্কপিসটিকে পছন্দসই অবস্থানে ধরে রাখে, সমর্থন ও শনাক্ত করে। ফিক্সচারের মূল উদ্দেশ্য হ'ল যে কোনও মেশিনিং অপারেশনের সময় ওয়ার্কপিসটিকে ধরে রাখা, শনাক্ত করা এবং পণ্যগুলির উৎপাদনে পুনরাবৃত্তিযোগ্যতা, নির্ভুলতা এবং বিনিময়যোগ্যতা প্রদান করা। উদাহরণ: ভাইস(Vise), চাক (chuck) ।
বডি: এটি একটি প্লেট, বাক্স বা ফ্রেম টাইপ স্ট্রাকচার যেখানে মেশিনিং করার উপাদানগুলি অবস্থিত। এটি বেশ শক্ত এবং অনমনীয় হওয়া উচিত।
উপাদানগুলি শনাক্ত করা: এই উপাদানগুলি কাটার সাথে সম্পর্কিত টুল ওয়ার্কপিসটিকে সঠিক অবস্থানে শনাক্ত করে। ক্যাম্পিং উপাদান: এই উপাদানগুলি নির্দিষ্ট অবস্থানে ওয়ার্কপিসকে দৃঢ়ভাবে সুরক্ষিত করে।
উপাদানগুলিকে গ্রাইন্ডিং এবং সেট করা: এই উপাদানগুলি জিগ করার ক্ষেত্রে কাটিং টুলকে গাইড করে এবং ফিক্সচার ক্ষেত্রে সঠিক টুল অনুযায়ী কাজ করতে সাহায্য করে। পজিশনিং এলিমেন্ট: এই উপাদানগুলির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফাস্টেনিং ডিভাইস রয়েছে, যেগুলি ব্যবহার করা হয় সঠিক অবস্থানে মেশিনে জিগ বা ফিক্সচার সুরক্ষিত করা। ইনডেক্সিং উপাদান: বিভিন্ন সারফেস বা বিভিন্ন জায়গায় মেশিনিং অপারেশন সঞ্চালনের জন্য বিভিন্ন অবস্থানে এই উপাদানগুলিকে জিগ বা ফিক্সচারে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়।
জিগ কাজের ধরণের উপর নির্ভর করে আটটি ভিন্ন ধরনের জিগ নিচে দেওয়া হল।
জিগ হচ্ছে নির্দিস্ট কাজ যেমন ড্রিলিং, রিমিং বা ট্যাপিং পরিচালনায় একটি বিশেষ টুল যা জিগগুলি কার্যবস্তুকে ধরে রাখে এবং বিশেষ করে টুলকে গাইড করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ফিক্সচার হচ্ছে নির্দিস্ট টুল নির্দিস্ট কাজ যেমন মিলিং, গ্রাইন্ডিং, প্ল্যানিং বা বাঁকানোর অপারেশনগুলি সম্পন্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
১. টেমপ্লেট জিগ (Template Jig)
২. প্লেট জিগ (Plate Jig)
৩. চ্যানেল জিগ (Channel Jig)
৪. ব্যাস জিগ (Diameter Jig)
৫. লিফ জিগ (Leaf Jig)
৬. রিং জিগ (Ring Jig)
৭. বক্স জিগ (Box Jig)
৮. ইনডেক্সিং জিগ (Indexing Jig)
টেমপ্লেট জিন এক ধরনের প্লেট যেখানে সহজে পছন্দসই অবস্থানে গর্তে ড্রিল করার জন্য ওয়ার্কপিস এর উপর স্থির রাখা হয়। টেমপ্লেটে ড্রিল বিটকে এই গর্ভের মাধ্যমে পরিচালিত করা হয় এবং প্রয়োজনীয় গর্তগুলি একই আপেক্ষিক অবস্থানে রেখে ওয়ার্কপিসে ড্রিল করা হয়। চিত্রে একটি টেমপ্লেট জিপ দেখানো হয়েছে।
গ্রেট ছিল হল এটি টেমপ্লেট জিগের একটি উন্নত অবস্থা যা টেমপ্লেটে ডিল বুশগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। গ্রেট জিগ ড্রিল বিট এবং ড্রিল বুল মধ্যে একে অপরের সাথে সঠিক ব্যবধান বজায় রেখে বড় অংশের গর্ত ড্রিল করার জন্য নিযুক্ত করা হয়। উপরের চিত্রে প্লেট জিপ দেখানো হয়েছে।
ওয়ার্কপিসটি চ্যানেলের মধ্যে বসারে ক্লাম্প ন্যটি ঘুরিয়ে ওয়ার্কপিচটি শক্ত করে আটকাতে হবে। যেদিকে ড্রিল বুশ লাগানো আছে সেদিক দিয়ে ছিল বিট প্রবেশ করে ওয়ার্কপিচকে ড্রিল করতে হবে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে ক্ষবকে আটকায়ে নির্ভুলভাবে ছিল করাকে চ্যানেল জি বলে। চিত্রে চ্যানেল জিপের মাধ্যমে জবের অবস্থান দেখানো হল।
৩.৩.৪ ব্যাস জিগ
ব্যাস জিগ বা ডায়ামিটার ছিল এর মাধ্যমে ওয়ার্কপিসের রেডিয়ান ড্রিল করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের জিলে একটি ভি-ব্লক ও একটি ক্লাম্পিং প্লেট ব্যবহার করা হয়। ক্লাম্পিং গ্রেটকে ডি-ব্লকের মাঝে জব রেখে ক্লাম্পিং ৰণ্ট দিয়ে আটকায়ে দিতে হয়। এ অবস্থায় ছিল বুশের মধ্যে ছিল বিট প্রবেশ করায়ে ড্রিল কার্য সম্পাদন করা হয়। চিত্রে ব্যাস ছিল এর কার্যবস্তুর অবস্থান দেখানো হয়েছে।
চিত্রে পাতার জিগ দেখানো হয়েছে। এটি একটি পাতা বা প্লেট আছে যার এক প্রায় কজা দ্বারা এবং অপর প্রাপ্ত উয়িং নাট- বোল্ট দিয়ে লাগানো থাকে। এখানে কার্যবস্তুকে সহজে লোড বা অনলোড করার জন্য পাতার জিল ব্যবহার করা হয়। ল্যাচ অ্যাটাচমেন্ট এর মাধ্যমে কার্যবস্তুকে আটকানো হয় ফলে জটি নড়া-চড়া না করতে পারে। এখন পাতার অংশে ছিল বুশের মাধ্যমে ড্রিল বিটকে প্রবেশ করায়ে ছিল করা হয়।
উপরের চিত্রে রিং জিগ দেখানো হয়েছে। এটি বৃত্তাকার ব্রীজ অংশ এর উপর ড্রিল করা হয়। এ পদ্ধতিতে দুটি কাম্পিং ফন্ট এর উপর ফ্লাজকে রেখে ৰূশসহ জিপ প্লেট নাট দিয়ে আটকাতে হয়। এরপর ড্রিল বুশের মাধ্যমে ড্রিল বিট প্রবেশ করিয়ে ড্রিল কার্য সম্পাদন করা হয়।
উপরের চিত্রে বক্স দিল চিত্রিত করা হয়েছে। এটি বাক্সের মতো যার মধ্যে কার্যবস্তুটি শক্তভাবে আটকানো হয়। বিশেষত এক সেটিং-এ কার্যবস্তুটির একাধিক অপারেশন সম্পন্ন করে যে কোন কোণে অনেকগুলি গর্ত কাজ করা হয়। নস্তুটির কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে বক্স ডিজাইন করা হয়। এ ধরনের দিগ কম্পোনেন্টটির বিভিন্ন পাশে কার্য সম্পাদনের ব্যবস্থা রাখা হয়।
মিলিং মেশিনে ইনডেক্সিং (বিভক্তিকরণ) কাজ সবার্ধিক হয়ে থাকে। তাই মিলিং মেশিন চালানোর পূর্বে ইনডেক্সিং পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। মিলিং মেশিনে কোনো বস্তুকে এক পাকের কোনো ভগ্নাংশে ঘোরানকে ইনডেক্সিং করা বলা হয়। ইনডেক্সিং জিগ একটি বৃত্ত বরাবর সমান দূরত্ব গর্ত ড্রিল করতে ব্যবহৃত হয়। এ ওয়ার্কপিসের পরিধিতে চারটি সমান দুরত্বের গর্ত ড্রিল করতে হবে। ওয়ার্কপিসে একটি মেশিনযুক্ত বোর রয়েছে। ওয়ার্কপিসটি একটি সি ওয়াসার এবং একটি হেক্সনটি দ্বারা আটকানো হয়েছে। বুশ প্লেটে একটি ড্রিল বুশ লাগানো হয়। চিত্রে ইনডেক্সিং জিগ-এর মাধ্যমে জবের অবস্থান দেখানো হয়েছ।
ফিক্সচারগুলি সাধারণত মেশিনিং অপারেশনের উপর ভিক্তি করে ডিজাইন করা হয়। নিচে বিভিন্ন ধরনের ফিক্সচার দেওয়া হল:
১. টার্নিং ফিক্সচার (Turning Fixture)
২. মিলিং ফিক্সচার (Milling Fixture)
৩. ব্রোচিং ফিক্সচার (Broaching Fixture)
৪. গ্রাইন্ডিং ফিক্সচার (Grinding Fixture)
৫. ইনডেক্সিং ফিক্সচার (Indexing Fixture)
৬. টেপিং ফিক্সচার (Tapping Fixture)
৭. বোরিং ফিক্সচার (Boring Fixture)
৮. ডুপ্লেক্স ফিক্সচার (Duplex Fixture)
৯. এসেম্বিলি ফিক্সচার (Assembly Fixture)
১০. ওয়েল্ডিং ফিক্সচার (Welding Fixture)
সাধারনত লেদ মেশিনে শ্যাফটকে টার্নিং করার জন্য চাকের মাধ্যমে জবকে আটকানো হয়। কিন্তু একটি প্লেটকে টার্নিং করার জন্য চাকের মাধ্যমে আটকানো যায় না, তখন চিত্রের ন্যায় ফিক্সচারকে চাকের মাধ্যমে আটকারে প্লেটকে টার্নিং করা হয়। জটিল আকৃতির কোন জবকে টার্নিং করতে হলে লেদের স্পিন্ডাল নোজ এর সহিত ফিক্সচারকে আটকায়ে টার্নিং করা হয়। এ ধরনের ফিক্সচার জবকে শক্তভাবে ধরে রাখার জন্য খুব সাবধানতার সাথে ডিজাইন করতে হয়। মাঝে মাঝে ফিক্সচারকে ব্যালেন্স করার জন্য কাউন্টার-ওয়েট লাগানো হয়। পাশের চিত্রে দেখানো হয়েছে
এ ধরনের ফিক্সচার ওয়ার্কপিসের উপর বিভিন্ন সিনিং অপারেশন পরিচালনা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। মিলিং ফিক্সচারকে মেশিনের টেবিলের উপর নিরাপদ সঠিক অবস্থানে নাট-বোল্ট দিয়ে আটকানো হয়। এ ফিক্সচারটি সেট করতে হলে কাটার এর স্বাপেক্ষে টেবিলকে সরায়ে জনকে সঠিক অবস্থানে রেখে জাটকাতে হবে। কাটিং ফোর্স উচ্চ হওয়ায় এবং সবিরাম কাটিং কার্য চলায় ফিক্সচারটিকে মেশিন টেবিলের সাথে টি-ফ্লোট এটি বোস্ট ও নাট দিয়ে ভালোভাবে আটকাতে হবে।
ব্রোচিং হল একটি মেশিনিং প্রক্রিয়া যা ধাতু অপসারণের জন্য একটি দাঁতযুক্ত টুল ব্যবহার করে, যাকে ব্রোচ বলা হয়। প্রধান দু' ধরনের ব্রোচিং রয়েছে: লিথিয়ার বা রৈখিক এবং রোটারি বা ঘূর্ণন। নিম্নে দুটি উপায়ের মধ্যে যে কোন একটি পদ্ধতিতে ব্রোচিং কার্য সম্পন্ন করা হয়;
ক) টুলকে স্থির রেখে টুলের উপর কার্যবস্তু পরিচালনার মাধ্যমে কাজ সম্পাদন,
খ) কার্যবস্তুকে স্থির রেখে টুল ঘূর্ণনের মাধ্যমে কাজ সম্পাদন। ব্রোচিং মেশিনে অপারেশন চলাকালীন বিভিন্ন ধরণের ব্রোচিং কার্যক্রম করার জন্য এই ফিক্সচারগুলি ওয়ার্কশিসকে শনাক্ত করণ, ধরে রাখা এবং সমর্থন করতে ব্যবহার করা হয়। যেমন কাওয়ে ব্রোচিং অপারেশন, কীওয়ে ব্রোচিং, হোল ব্রোচিং, ইত্যাদি অভ্যন্তরীণ পুল-টাইপ হোল ব্রোচিংয়ের জন্য ফিক্সচার হিসাবে ক্ল্যাম্পিং প্লেটের ব্যবহার করা হয়।
গ্রাইন্ডিং অপারেশনের ধরন এবং ব্যবহৃত মেশিনের উপর নির্ভর করে ওয়ার্ক হোল্ডিং ডিভাইসগুলি ডিজাইন করা হয়।
(ক): বাহ্যিক গ্রাইন্ডিংএর জন্য ফিক্সচার:
ম্যাড্রেন হল সবচেয়ে সাধারণ ফিক্সচার যা ওয়ার্কপিসের বাহ্যিক পৃষ্ঠকে গ্রাইন্ডিং করার জন্য ব্যবহৃত হয় । মেশিনের কেন্দ্রের মাঝে ম্যাডেনকে শক্তভাবে ধরে রাখা হয়। স্যান্ডেল অভ্যন্তরীপ চাক বা বোর সহ বৃত্তাকার কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। কাজের টুকরোটি বোরের সাহায্যে ম্যাক্সেলের উপর ধরে রাখে যাচ্ছে বোরের সাথে সত্যই কেন্দ্রীভূত হয়ে বাহ্যিক পৃষ্ঠটি গ্রান্ডিং করা যায়। বিভিন্ন ধরনের ম্যান্ডেল হল টেপার ম্যাডেল, স্ট্রেইট ম্যান্ডেল, কম্বিনেশন অব স্ট্রেইট ও টেপার ম্যান্ডেল।
(খ) অভ্যন্তরীণ গ্রাইন্ডিংএর জন্য ফিক্সচার:
সাধারণ বৃত্তাকার কাজের বস্তুর অভ্যন্তরীণ পৃষ্ঠগুলিকে গ্রাইন্ডিং করার জন্য, চাকটিকে একটি স্ট্যান্ডার্ড ওয়ার্ক হোল্ডিং ডিভাইস হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ প্রয়োজন অনেক উপাদানের জন্য ফিক্সচার তৈরি করে লেদ ফিক্সচারের মতো একই লাইনে ডিজাইন করা যায়।
(গ)সারফেস গ্রাইন্ডিংয়ের জন্য ফিক্সচার :
নিম্নলিখিত উপায়ে পৃষ্ঠ মেশিনিংয়ের জন্য কাজের টুকরোটি ধরে রাখে।
• ফিক্সচারটি সরাসরি মেশিনের টেবিলের সাথে আটকানো যেতে পারে।
• এটিকে ডাইস মধ্যে আটকানো যেতে পারে।
• কাজের বন্ধুটিকে চৌম্বক চাক বা ভ্যাকুয়াম চাকের মাধ্যমে ধরে রাখা যেতে পারে।
• কাজের বস্তুটিকে একটি বিশেষ ফিক্সচারে রাখা যেতে পারে।
বোরিং হল একটি মেশিনিং প্রক্রিয়া একটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা কাটিং টুল ব্যবহার করে যেমন ছিল করা অংশে বিশেষ ছিল বিটের সাহায্যে সঠিক মাপের বড় গর্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। কাটিং ওয়ার্কপিসের অভ্যন্তরীণ হতে ধাতু সরিয়ে দেয়। বিভিন্ন গ্রেড-এর বোরিং কার্য সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফিক্সচার ব্যবহার করে জবকে মেশিনিং করা হয়। লেদ যে শনের সাহায্যে বড় ব্যাসের গর্ভের করা যায়। এ মেশিনের সংগে ফিক্সচার এর মাধ্যমে বোরিং টুলবার লাগিয়ে বড় ব্যাসের গর্ভ সম্পন্ন করা হয়।
নিম্নে দুটি উপায়ের মধ্যে যে কোন একটি পদ্ধতিতে বোরিং কার্য সম্পন্ন করা হয়;
ক) টুলকে স্থির রেখে টুলের উপর কার্যবস্তু পরিচালনার মাধ্যমে কাজ সম্পাদন,
খ) কার্যবস্তুকে স্থির রেখে টুল ঘূর্ণনের মাধ্যমে কাজ সম্পাদন ভদনুসারে, বোরিং ফিক্সচার দুটি সাধারণ ডিজাইনে তৈরি করা হয়।
ইনডেক্সিং ফিক্সচার একটি ডিভাইস যাকে ঘুরিয়ে কোন জবকে যে কোন কোণ-এ মেশিনিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। অর্থাৎ সমান দূরত্বে একই কাজ করার জন্য জবকে ধরে বিভিন্ন পৃষ্ঠ হতে ধাতু সরায়ে ফেলা হয়। এই জাতীয় কার্য সম্পাদন করতে যতগুলি কার্যবস্তুর সারফেস হতে মেটাল পরিত্যাগ করতে হবে তপ্তগুলি সমানভাৰে ইনডেক্স বা সুচিবদ্ধ করা প্রয়োজনা যে শনযুক্ত এই জাতীয় ডিভাইস বহনকারী একটি ফিক্সচার ইনডেক্সিং ফিক্সচার হিসাবে পরিচিত।
টেপ একটি সরঞ্জাম যা মাল্টিদাঁত বিশিষ্ট টুলের মাধ্যমে ধাতু পরিত্যাগ করে থ্রেড কার্য সম্পাদন করা হয়। টেপ দুই, তিন, চার ফুইট বিশিষ্ট হয়ে থাকে। কোন গর্তযুক্ত বস্তুর মধ্যে টেপ প্রবেশ করলে দুই ফুইট বিশিষ্ট টেপের মাল্টিপীত বস্তুর প্রান্তে বল প্রয়োগে খাজু পরিত্যাগের মাধ্যেমে গ্রেড কার্য সম্পাদন করে থাকে। ড্রিলিং মেশিন, লেদ মেশিন, সয়ংক্রিয় ক্ষু থ্রেড মেশিন, সিএনসি সিলিং মেশিন এর মাধ্যমে ট্যাপিং ফিক্সচার ব্যবহার কাজ সম্পাদন করা হয়।
ট্যাপিং ফিক্সচার ওয়ার্কপিসগুলিকে অবস্থান দৃঢ়ভাবে সুরক্ষিত করে থ্রেড কাটার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। কোন গর্ভবিশিষ্ট কার্যবস্তুর ভিতরে থ্রেড করার জন্য উক্ত বন্ধুকে শক্তভাবে নিরাপদ অবস্থানে রেখে কাজ করা হয়।
এ ফিক্সচার-টি একই সাথে দুটি পৃথক স্টেশনে দুটি অনুরূপ উপাদান মেশিনিং করা হয়। অর্থাৎ এক সেটিং-এ একই বা ভিন্ন অপারেশন করা যায় যখন ১৮০ ডিগ্রি অবস্থানে কার্যবস্তুকে ফিক্সচার করা হয়। এটি এমন ধরনের ফিক্সচার যার সাহায্যে প্রথম স্টেশনে কার্যবস্তু মেশিনিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্বিতীয় স্টেশনে দ্বিতীয় মেশিনিং প্রক্রিয়া করার জন্য স্থানান্তরিত করে কাজ সম্পাদন করা হয়। কার্য সম্পাদিত বস্তুকে পুনরায় প্রথম স্টেশনে জানা হয় এবং নতুন কার্যবস্তু প্রতিস্থাপন করা হয়। এভাবে একই সেটিং-এ একাধিক অপারেশন করা যায় এবং উচ্চ গতিতে ব্যাপক উৎপাদন করা সম্ভব।
ওয়েল্ডিং ফিক্সচার এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে ঢালাই কাঠামোতে কার্যবস্তুটি বিকৃতি প্রতিরোধ করতে পারে। ঢালাই করার জন্য কার্যবস্তুকে নির্দিষ্ট অবস্থানে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে সহায়তা করে। সাধারণত কার্যবস্তুটি প্রথমে ধরে রাখার জন্য ঢালাই ছিল এবং তারপর সম্পূর্ণ ঢালাই করার জন্য হোল্ডিং ফিক্সচার ব্যবহার করা হয়। ফলে কাঠামোটি দৃঢ় চাপ সহ্য করতে পারে এবং বিকৃতির সম্ভাবনা থাকে না।
এই ফিক্সচারের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন কার্যবস্তুকে তাদের যথাযথ আপেক্ষিক অবস্থানে রেখে একসাথে মেশিনিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, দুই বা ততোধিক স্টিলের প্লেট আপেক্ষিক অবস্থানে একসাথে রেখে। রিভিটেড করা যায়। এই ফিক্সচারগুলি, যান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনের জন্য উপাদানগুলিকে ধরে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা অ্যাসেম্বিলি ফিক্সচার হিসাবে পরিচিত হয়।
জিগস এবং ফিক্সচারগুলি ক্ষয় প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন ধরণের মেটাল দিয়ে তৈরি করা হয়। সাধারণত ড্রিল, রিমার এবং মিলিং মেশিনিং কাটিং টুল কাটার জন্য উচ্চ গতির ইস্পাত (High Speed Steel) ধাতু দিয়ে জিগ এবং ফিক্সচার তৈরি করা হয়। ডাই ষ্টীল (Die Steel): প্রেস টুলের জন্য ব্যবহৃত, ১% কার্বন থাকে, ০.৫ থেকে ১% ট্যাংস্টেন এবং কম পরিমাণে সিলিকন ও ম্যাঙ্গানিজ।
কার্বন ইস্পাত (Carbon Steel): আদর্শ কাটার সরঞ্জামের জন্য ব্যবহৃত হয়।
নন-সঙ্কুচিত টুল ষ্টীল (Non- Shirkning Tool Steel): সূক্ষ্ম, জটিল প্রেস টুলের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
নিকেল ক্রোম ষ্টীল (Nicle Crome Steel): গিয়ার কাটিং টুল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
টেনসাইল ষ্টিল (High Tensile Steel): স্ক্রু কাটিং টুল তৈরিতে উচ্চ প্রসার্য স্টিল ব্যবহৃত হয়।
ষ্টিল হালকা ইস্পাত (Mild Steel) : সবচেয়ে সস্তা উপাদান এবং ০.৩% এর কম কার্বন থাকায় জিগস এবং ফিক্সচার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
ঢালাই আয়রন (Cast Iron): মিলিং ফিক্সচার-এর তৈরিতে সর্বাধিক সুবিধাজনক। অত্যাধিক কম্পন জনিত মেশিন ও এ মেটালের তৈরি করা হয়।
নাইলন এবং ফাইবার (Nylon & Fiber): চাপের কারণে ওয়ার্কপিসের ক্ষতি হাত হতে রক্ষা করার জন্য নরম আস্তরণের ক্ল্যাম্পিং ব্যবহৃত হয়।
ফসফার ব্রোঞ্জ (Phosphor Bronze): মরিচা প্রতিরোধক পার্টস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১. ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
২. প্রতি ইউনিটের খরচ কমায়।
৩. পণ্যের পরিমাপ কম পরিবর্তশীলতার কারণে সামঞ্জস্যপূর্ণ উৎপাদন মান বজায় রাখে।
৪. তাৎপর্যপূর্ণ মান নিয়ন্ত্রণ খরচ ও পরিদর্শন কমায় ।
৫. উন্নত নিরাপত্তা মান বজায় রাখে বিধায় দূর্ঘটনা কমায়।
৬. অল্প দক্ষ শ্রমিক নিয়োজিত করায় শ্রম খরচ কম হয়।
৭. জটিল, ভারি ও শক্ত বস্তু সহজে মেশিনিং করা যায়।
৮. সমাবেশ পদ্ধতি সহজ হওয়ায় অনুৎপাদন ঘন্টা কমায়।
৯. মেশিন টুলের প্রায়োগিত সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
১০. একটি কার্যবস্তুতে একই সঙ্গে একাধিক ডিভাইস প্রয়োগ করা যেতে পারে।
১১. জিগ ও ফিক্সচার এর ধরে রাখার সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে কাটিং এর গতি, কাটিং-এর গভীরতা, কাটিং-ফিড এর হার ইত্যাদি মান বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
১২. প্রতিটি কার্যবস্তু নির্দিস্ট স্থানে বসানো, কাজের পরিমাপ করণ, সমতা নির্ধারন না থাকায় কাজের পরিধির ব্যাপকতা ও সময় নির্ধারণ কমায়।
সাফল্যজনক জিগ অথবা ফিক্সচার ডিজাইনের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের বিশ্লেষণমূলক উপাত্ত বিবেচনায় এনে যার মাধ্যমে পরিকল্পিত প্রকৃত কাজ নিরাপদে এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। নিম্নে
সেই সকল ফেক্টরসমূহ প্রদত্ত হলো।
১. উপাদানের ধরণ
২. মেশিনের ক্ষমতা এবং ধরণ
৩. উপাদানের অবস্থান নির্ধারণ
৪. উপাদান খোলা এবং লাগানোর ব্যবস্থাপনা
৫. উপাদান আটকানোর ব্যবস্থাপনা
৬. আটকানো উপাদানটি পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি
৭. উপাদান এবং জিগ-এর মধ্যে প্রয়োজনীয় ফাঁকা ব্যবস্থাপনা
৮. ইনডেক্সিং ডিভাইজ এর প্রয়োজনীয়তা
৯. টুল এবং কাটার সেটিং পর্যালোচনা করা
১০. অজানা তথ্য বিশ্লেষণ
১১. উপাদান নির্গমনের পথ নির্ধারণ
১২. মেটাল বা উপাদান বাহির করার ব্যবস্থাপনা
১৩. দৃঢ়তা এবং কম্পন সমস্যার বিশ্লেষণ
১৪. টেবিলে উপাদান আটকানো ব্যবস্থাপনা
১৫. নিরাপত্তা বিষয়ক বিশ্লেষণ
১৬. জিগের বেইজ, ফ্রেম বা বডি তৈরি পদ্ধতি বিশ্লেষণ
ড্রিলিং, মিলিং ও টেপিং অপারেশনে জিগ ব্যবহার করা হয় এছাড়া-
ক) সঠিক স্থানে কাটিং টুল ব্যবহার করা যায়।
খ) বস্তুর উপরিভাগে মার্কিং বা লে-আউট করার প্রয়োজন হয় না বলে কাজের সময় কম লাগে।
গ) নির্ভুলভাবে কাজ করতে সহজ হয়, কারণ প্রথমেই সব সেট করা থাকে।
ঘ) আধা দক্ষ কারিগর দ্বারা কাজ করা সম্ভব হয়।
ঙ) শরীরের ক্লান্তি হ্রাস করা যায়।
চ) একই সঙ্গে অধিক সংখ্যায় তৈরি হওয়ার কারণে মূল্যামান হ্রাস পায় ।
ছ) কম সময়ে অধিক সংখ্যক উৎপাদন করা যায়।
জ) শ্রমিকের কায়িক শ্রম কম লাগে ।
ফিক্সচার এর প্রয়োগ- মিলিং, গ্রাইন্ডিং, প্লানিং, টার্নিং এবং সেপিং।
ক) এটা কাৰ্য বস্তু সঠিকস্থানে সুদৃঢ়ভাবে ধরে রাখার জন্য নির্ভরযোগ্য ডিভাইস ।
খ) এটা দ্বারা যে কোনো মাপের বা আকারের কার্যবস্তুকে আটকানো সুবিধাজনক।
গ) ফিক্সচারকে ভাইসরূপে ব্যবহার করা যায়।
ঘ) প্রোডাকশন লাইনে অ্যাঙ্গেল হোল বা সারফেস বা প্রান্ত তৈরি করতে ফিক্সচার ব্যবহার হয়।
১. কাজের প্ররোজন অনুযায়ী ডি-ব্লক নির্বাচন করতে পারব
২. ডি-ব্লক এ কার্যবস্তু সেটিং করতে পারব;
৩. ডি-ব্লক এর কার্যক্ষমতা চেক করতে পারব;
৪. ডি-ব্লক এবং ফিটিংসমূহ যথাস্থানে ব্যবহার ও সংরক্ষণ করতে পারব;
সুরক্ষা সরঞ্জামের নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
সেফটি স্যু | মানসম্মত | ১ জোড়া |
গগলস | মানসম্মত | ১টি |
হ্যান্ড গ্লাভস | মানসম্মত | ১ জোড়া |
অ্যাপ্রন | সাইজ অনুযায়ী | ১টি |
মাস্ক | সাইজ অনুযায়ী | ১টি |
যন্ত্রপাতির নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
অ্যাডজাস্টেবল রেঞ্চ | ৬-১২ ইঞ্চি | ১ সেট |
স্ক্রু ড্রাইভার | ফ্লাট, ফিলিপস | ১ সেট |
স্ক্র্যাপার | বিভিন্ন মাপের | ১ সেট |
প্লায়ার্স | কম্বিনেশন | ১ সেট |
ড্রিল বিট | গর্তের মাপ অনুযায়ী | ১টি |
হ্যামার | ১.৫ পাউন্ড | ১টি |
স্টীল রুল | ১২ ইঞ্চি | ১টি |
ট্রাই-স্কয়ার | ৬ ইঞ্চি | ১টি |
টেমপ্লেট জিগ | মাপ অনুযায়ী | ১টি |
প্লেট জিগ | মাপ অনুযায়ী | ১টি |
ওপেন টাইপ জিগ | মাপ অনুযায়ী | ১টি |
চ্যানেল জিগ | মাপ অনুযায়ী | ১টি |
ইকুইপমেন্টের নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
ড্রিলিং মেশিন | মানসম্মত | ১টি |
মালামালের নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
ওয়েস্ট কটন | মানসম্মত | ৫০০ গ্রাম |
দ্রবনীয় তেল | মেটাল মেশিনিং প্রক্রিয়া অনুযায়ী | প্রয়োজন অনুযায়ী |
খনিজ তেল | মেটাল মেশিনিং প্রক্রিয়া অনুযায়ী | প্রয়োজন অনুযায়ী |
রাস্ট রিমুভার | ওয়্যার ব্রাশ | ১টি |
১. মালামালের তালিকা অনুযায়ী যন্ত্রপাতি, ইকুইপমেন্ট ও মালামাল সংগ্রহ করো।
২. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম সংগ্রহ ও পরিধান করো।
৩. এখানে একটি জিগ প্লেট নিয়ে আলোচনা করব।
৪. একটি নির্দিস্ট মাপের ড্রিল করার জন্য কার্যবস্তু সংগ্রহ করো।
৫. একটি প্লেট টাইপ জিগ সংগ্রহ করো যেখানে দুইটি নির্দিস্ট গর্ত করার প্রয়োজন।
৬. জিগ প্লেটটির নীচে কার্যবস্তু বসিয়ে ভাইস অথবা টেবিল স্ক্রু এর সাথে আটকাও।
৭. ড্রিল মেশিনে নির্দিস্ট মাপের ড্রিল বিট লাগাও ।
৮. ড্রিল মেশিনের সুইচ অন করে ড্রিল বুশ বরাবর ড্রিল বিট প্রবেশ করাও
৯. ধীরে ধীরে ড্রিল বুশ টুলকে গাইড করে কার্যবস্তুকে সঠিক স্থানে ড্রিল করো।
১০. এভাবে প্লেট জিগ এর সাহাযে খুব সহজে মার্কিন ছাড়াই কাযবস্তুতে ড্রিল করো।
১১. চিত্রে প্রদর্শিত অন্যান্য জিগ ব্যবহার করে ড্রিল কার্য সম্পাদন করো।
• কাজ করার সময় অব্যশই পিপিই (PPE) পরিধান করতে হবে।
• সঠিকভাবে টুলসের ব্যবহার নিশ্চিত হতে হবে।
• কাজের সময় অমনোযোগী হওয়া যাবে না।
• যদি বোঝতে সমস্যা হয় তবে শিক্ষক এর সহায়তা নিতে হবে।
• শিক্ষক এর অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো কাজ করা যাবে না।
মেটাল নিবাচন করে সঠিক মেশিনে চার্টে উল্লেখিত নির্ধারিত কুলেন্ট ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এই জব সম্পন্ন করে নির্দিস্ট কুলেন্ট ব্যবহার এবং নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারবে। বিভিন্ন চার্ট দেখে মেটালের ও ইকুপমেন্ট এর জন্য কি ধরনের কুলেন্ট ব্যবহার করা হয় তা জানতে পারবে।
১। জিগ বলতে কী বুঝায় ?
২। ফিক্সচার বলতে কী বুঝায়?
৩। জিগ ও ফিক্সচার এর উপাদানসমূহ কী কী?
৪। কোন মেশিন অপারেশনে জিগ-এর প্রয়োগ হয়?
৫। কোন মেশিন অপারেশনে ফিক্সচার-এর প্রয়োগ হয়?
১। জিগ-এর শ্রেণিবিন্যাস করো।
২। ফিক্সচারের শ্রেণিবিন্যাস করো।
৩। কোন কোন মেটারিয়াল দিয়ে জিগ ও ফিক্সচার তৈরি করা হয়?
৪। ইন্ডেক্সিন জিগ কী কী উপাদান নিয়ে গঠিত?
৫। জিগ ও ফিক্সচারের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য লিখ।
১। জিগ ও ফিক্সচারের ডিজাইনের মূলনীতি আলোচনা করো।
২। জিগ ও ফিক্সচারের ব্যবহার সুবিধা আলোচনা করো।
৩। বোরিং ফিক্সচারের কার্য পদ্ধতি ব্যাখ্যা করো।
৪। টানিং ফিক্সচারের কার্য পদ্ধতি আলোচনা করো।
উপরের ছবিগুলো তোমাদের কাছে খুব পরিচিত মনে হচ্ছে। তোমাদের বাসায় রান্না ঘরে, বাথরুমে, সেফটি ট্যাঙ্কে, ছাদের উপর রক্ষিত পানির ট্যাঙ্কে বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন আকারের পাইপ ব্যবহার করা হয়। আবার অনেক সময় রাস্তার পাশে মাটি খুড়ে পাইপ বসাচ্ছে। সেখানেও ভিন্ন কাজের জন্য ভিন্ন ধরনের ভিন্ন আকারের পাইপ ব্যবহার করা হয়। এই একই জিনিস বিভিন্ন কল-কারখানায়, পাওয়ার প্লান্টে, জাহাজে, স্বয়ংক্রিয় যানবাহনে, তৈল শোধনাগারে ইত্যাদি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়। মজার ব্যপার হলো প্রত্যেকটা কাজের ক্ষেত্রে ভিন্ন নামে ভিন্ন পদার্থ এর ব্যবহার করা হয়। এ অধ্যায় কোথায় কোন কোন জিনিস কোন কোন পদার্থ এর কোন অংশ কি পরিমাণ কিভাবে প্রয়োগ করা হয় তার সম্পর্কে জানব।
কোন লম্বা গোলাকার ফাঁপা বিশিস্ট প্লাস্টিক, মেটাল, কাঠ, গ্লাস পদার্থের তৈরি যার ভিতর দিয়ে পানি, গ্যাস, তেল বা যে কোনো প্রবাহীর স্থানান্তর করার জন্য ব্যবহার করা হয়, তার নাম পাইপ। সাধারণত যে ধরনের প্রবাহী ব্যবহার করা হয় তার নামানুসারে ঐ পাইপ বলে থাকি যেমন- পানির পাইপ, গ্যাসের পাইপ বা তেলের পাইপ ইত্যাদি। তবে এই প্রবাহীর তাপমাত্রা ও চাপ-এর উপর নির্ভর করে বিভিন্ন মেটালের পাইপ ব্যবহার করে থাকি যেমন- প্লাস্টিক, কপার, রট আয়রন, স্টেইনলেস স্টীল, উড, গ্লাস, কংক্রিট, সিরামিকস ইত্যাদি। বলা যায়, কোন পাইপে প্রবাহিত তরল বা প্রবাহীর ভিতর এবং বাইরের চাপ, তাপমাত্রা উপর ভিত্তি করে অনুমোদিত উপাদান কোড ব্যবহার করা হয়। ভিন্ন কাজে প্রবাহীর পরিমাণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এনে ভিন্ন আকারের অর্থাৎ মোটা বা চিকন পাইপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কোনো প্রবাহী (তরল, গ্যাস, ছোট কণা অথবা মিশ্রণ) এক সরঞ্জাম হতে অন্য সরঞ্জামে বা স্থানে স্থানান্তরিত করার জন্য পাইপ, পাইপ ফিটিংস, ভালভসমূহ একত্রে সংযোজন করে নির্মাণ করা হয় তাকে পাইপিং বলে। আবার কোনো একই জাতীয় প্রবাহী অর্থাৎ শুধুমাত্র গ্যাস, শুধুমাত্র তরল অনেক দূরে পাইপিং সিস্টেমের মাধ্যমে এক স্থান হতে অন্য স্থানে সরবরাহ করা হয় তাকে পাইপ লাইন বলে। পাইপ, পাইপিং সিস্টেম, পাইপ লাইন ব্যবহার করে কোনো কারিগরি কৌশলকে কাজে লাগিয়ে কারিগরি প্রক্রিয়া সংঘঠিত করে যে প্রকল্প নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হয়, তাকে পাইপিং ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। পাওয়ার প্লান্ট, কেমিক্যাল প্লান্ট ইত্যাদি। এ ধরনের নির্মাণ কাজে পাইপ-লাইন এবং আদর্শ পাইপিং কোড ব্যবহার করা হয় যেমন- ASME B31 series (American Society of Mechanical Engineers).
সোজা পাইপ বা টিউবিং বিভাগগুলি সংযোগ করতে, বিভিন্ন আকার বা আকৃতি পাইপের দিক পরিবর্তন করতে, পানি বা প্রবাহীর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে যে অংশসমূহ সংযোগ করা হয় তার নাম পাইপ ফিটিংস। সাধারনত: একই ধরনের ধাতুর (যেমন স্টেইনলেস স্টীল, ইস্পাত, তামা বা প্লাস্টিক) তৈরির পাইপ বা টিউব সংযোজনে ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজনে একই উপকরণের সাথে খাপ খাইয়ে একটি জয়েন্টিং পদ্ধতি প্রদান করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, সাধারণত পাইপিং সিস্টেমে ব্রাস ধাতু বিশিস্ট ফিটিংস ব্যবহার করা হয়। পাইপিং সিস্টেমের সাধারন পাইপ ফিটিংস এর ছবি দেখানো হলে।
পাইপিং সিস্টেমের জন্য ফিটিং ব্যয়বহুল হতে পারে এবং উপাদানসমূহ ( স্টপ কক্, ডালভ ইত্যাদি) ইনস্টল করতে আনুপাতিকভাবে বেশী শ্রমের প্রয়োজন হতে পারে, তাই পাইপিং ইনস্টল এর গুরুত্ব বিবেচনা করে সঠিক পাইপ ফিটিংস নির্বাচন এবং ব্যবহার অত্যাবশ্যক। বিভিন্ন ধরনের ধাতুর তৈরি পাইপ ফিটিংস বিভিন্ন পরিসরে পাইপ সংযোজনে ব্যবহার করা হয়। যেমন তামা পাইপিং সিস্টেমগুলিতে এলবো ব্যবহার না করে পাইপ বাঁকিয়ে ইনস্টল করা যেতে পারে। সোচ্চার নির্ভর করে কাজের ধরনের উপর কারণ কোনো উপাদান পরিবর্তন করা প্রয়োজন সেক্ষেত্রে সোম্বারিং না করে ব্রাস ফিটিং ব্যবহার করা হয়। নিম্নে বিভিন্ন ধরনের পাইপ ফিটিং প্রদয় করা হইল।
• Elbow
• Tee
• Cross
• Reducer Cap
• Union
সাধারণত দু' ধরনের এলবো ব্যবহার করা হয় একটি ১০° অন্যটি ৪৫। দুটি পাইপ বা টিউবের মধ্যে ৯০ বা ৪৫° দিক পরিবর্তনের জন্য একটি পাইপ ফিটিং-এর প্রয়োজন পড়ে সেগুলো গ্রেডের অথবা ওয়েডিং-এর মাধ্যমে পাইপের সাথে সংযোগ করা হয়ে থাকে। যখন দুটি প্রান্তের আকারে পার্থক্য হয়, তখন এটিকে হ্রাসকারী বা রিডিউসার এলবো বলা হয়। এলবো ছোট বা দীর্ঘ ব্যাসার্ধের হয়ে থাকে কারণ কাজে ক্ষেত্র বিবেচনা করে অল্প জায়গায় দিক পরিবর্তন করতে ছোট ব্যাসার্ধের এলৰো বা ক্ষয় কমাতে বেশী ব্যাসার্ধের এলবো ব্যবহার করা হয়। যদি পাইপের ব্যাস এবং এলবো কেন্দ্র হতে প্রাপ্ত পর্যন্ত সমান হয় তবে সেটা ছোট ব্যাসার্ধের এলবো এবং পাইপের ব্যাসের ১.৫ গুণ হয় তবে সেটা দীর্ঘ ব্যাসার্থের এলবো।
'টি'এর মূল উদ্দেশ্য তরল প্রবাহকে একত্রিত বা বিভক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণ টি-এর মূল অংশ এবং শাখা অংশের ব্যাস সমান থাকে। মূল পাইপ থেকে শাখা পাইপে বিভক্ত করতে ওয়াই টি ব্যবহার করা হয় এবং শাখা অংশের ব্যাস মূল অংশের ব্যাসের তুলনায় ছোট হবে। ঘর্ষণজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করার লক্ষ্যে সুইণ্ট টি ব্যবহার করা হয়।
ক্রস-এ একটি ইনলেট এবং তিনটি আউটলেট আছে অথবা তদ্বিপরীত। প্রতিটি অংশের ব্যাস সমান এবং কম জায়গায় কম শ্রমে এটি বসানো যায়। ক্রসের পরিবর্তে যদি 'টি' ব্যবহার করা হতো তাহলে খরচও বেশী হতো এবং স্থানের অপচয় হতো। সাধারণত সংকোচিত বাভাস সরবরাহের ক্ষেত্রে এটির ব্যবহার বেশী।
এটির মুল উদ্দেশ্য হলো দু' পালের চাপ ও প্রবাহের পরিমাপের পরিবর্তন ঘটানো। হ্রাসকারী দু' ধরনের হয়ে থাকে একটি সমকেন্দ্রিক ( একটি কেন্দ্র) অন্যটি ভিন্নকেন্দ্রী (দুটি কেন্দ্র)। এটি দুটি ভিন্ন মাপের পাইপ একসঙ্গে যোগদান দিতে ব্যবহার করা হয়।
ক্যাপ বা প্লাগ ফিটিংস এর একটি অংশ যা কোনো পাইপ লাইনে শেষপ্রান্তে প্রবাহীর প্রবাহ বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয়। অথবা ভবিষতে সেখানে নতুন সংযোগ করার জন্য সুযোগ রাখা হয়। রিপ আভ্যন্তরিন রেড বিশিষ্ট ডিভাইসকে ক্যাপ এবং অনাভ্যন্তরিন প্লে বিশিষ্ট ডিভাইসকে বলে। ইহা কার্বন দ্বীপ, স্টেইনলেস ষ্টীল, প্লাস্টিক ইত্যাদি মেটালের তৈরি হয়ে থাকে। ইহার হেড বা মাথা গোলাকার, চতুর্ভুজ, ষড়ভুজ ইত্যাদি আকারের হয়ে থাকে।
ইউনিয়ন একটি কাপলিং অনুরূপ, এটি যুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ এবং ফিক্সচার প্রতিস্থাপনের জন্য পাইপের সুবিধাজনক সময়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সুযোগ থাকে। কাপলিং সাধারণত স্থায়ী জয়েন্ট কিন্তু এটির ক্ষু খুলে ফেলার জন্য সমস্ত পাইপটিকে তার একপাশে ঘোরাতে সক্ষম। ইউনিয়ন ব্যবহার করার সময় ভিন্ন ধাতুর সাথে যেমন তামা এবং ) একটি অপরিবাহী পদার্থের (গ্যালভানাইজড স্টিল রিং ব্যবহার করা উচিত যাতে কোনো তরল বা গ্যাস লিক না করে।
পাইপওয়ার্ক সিষ্টেমে ভালভ, পাইপ, পাম্প এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সংযোগ তৈরি করতে ফ্ল্যাঞ্জ ব্যবহার করা হয়। সাধারণত দু'ধরনের ফ্রাঞ্জ পাওয়া যায় ওয়েন্ডেড অথবা থ্রেডেড। সেগুলো পোস্ট দিয়ে সংযোগ করা হয় এবং ফ্রাঞ্জছয়ের সাবে গ্যাসটি ব্যবহার করা হয় যাতে সিন হিসেবে কাজ করে ও পাইপিং সিষ্টেমে সহজে প্রবাহী প্রবাহিত হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ফ্লাঞ্জ এর ব্যবহার দেখা যায় নিম্নে সেগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
•Weld Neck
• Slip-on
•Socket Weld
•Threaded
• Stub-end or Lap Flange
• Blind Flange
এ ধরনের ফ্লাজ পিছনের বর্ধিত অংশকে হাব বলে যার শেষ প্রান্তের ব্যাস ও পাইপের ব্যাস সমান। ফ্লাজ হাব এর শেষ প্রান্ত বেডেল করা হয় এবং পাইপের বেভেল অংশ মিশে ७ ওয়েন্ডিং করা হয়। পাইপিং প্রক্রিয়ায় উচ্চ চাপ ও তাপমাত্রা প্রবাহী প্রবাহের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়।
পাইপ গ্রহণ করার জন্য একটি সকেট ফ্ল্যাজ কাউন্টারবোর হয়, যা পরে ফিলেট ঢালাই করা হয়। ভাল প্রবাহ নিশ্চিত করতে পাইপ এবং ফ্ল্য উভয়ের বোর একই।
স্লিপএবং তারপর ফিলেট ঝালাই করা হয় অন ফ্ল্যাঞ্জ পাইপের উপর স্লিপ করা হয়। দু'ধরনের ফ্লাজ দেখা যায় একটি রেইজড ফেস স্লিপ অন ফ্রাঞ্জ অন্যটি ফ্লাট ফেস স্লিপ অন ফ্রাঞ্জ। ASME B16.5 & B16.47 অনুসারে পাইপের অভ্যন্তরীন প্রেসার রেটিং নাম্বার ৩০০ পর্যন্ত হলে ফেইস রেইজড উচ্চতা হবে ২ মিমি. এবং প্রেসার রেটিং নাম্বার ৩০০ হতে ২৫০০ হলে ফেইস রেইজড উচ্চতা হবে আনুমানিক ৭ মিমি বা ০.২৫ ইঞ্চি। ফেইস উচ্চতার বৃদ্ধির মূল উদ্দেশ্য হলো ঐ ছোট জায়গায় চাপ বৃদ্ধির মাধ্যমে একত্রিত করা যায় যাতে প্রবাহীর নির্দিষ্ট আভ্যন্তরীণ চাপে কোনো দূর্ঘটনা না ঘটে। জোড়া জায়গার মাঝে সেমি মেটাল বা মেটাল গ্যাসটি ব্যবহার করা হয়। ওয়েল ও গ্যাস ফিল্ড প্লান্টে রেইজড ফেস ফ্রাঞ্জ বেশী ব্যবহার হয়ে থাকে। ফ্লাট ফেইজ ফ্রাঞ্জ কম প্রেসার ওয়াটার পাইপিং সিষ্টেমে ব্যবহার করা হয় যেমন পাম্প সাকশন, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। এ ধরনের ফ্রাঞ্জ নন-মেটালিক গ্যাসটি ব্যবহার করা হয় (PTFF, polytetrafluoroethylene Gasket; EPDM, ethylene-propylene diene monomer Gaskets).
(খ) ল্যাম্প ফ্ল্যান্জ (Lap Flange) : ল্যাপ ফ্ল্যাঞ্জ স্টাব প্রান্তের (বা ব্যাকিং ফ্ল্যাঞ্জ) সাথে ব্যবহার করা হয় যা ৰাট হয় ওয়েল্ড করা। স্টার প্রান্তের সিলিং ফেইস প্লেইন, সুখ বা গুণ হতে পারে। সিলিং ফেইস এ কোনো গ্যাসকিট ব্যবহার করা হয় না। এই ধরনের জয়েন্ট সহজে সারিবদ্ধভাবে একত্রিত করা হয় এবং এটি নিম্নচাপের অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে ব্যবহার করা হয়। খরচ কমাতে 'ব্যাকিং' ফ্ল্যাঞ্জগুলি স্টেইনলেসের মতো নিম্ন গ্রেডের উপাদান থেকে তৈরি করা যেতে পারে।
অন্ধ ফ্ল্যাঞ্জ বা কখনও কখনও এটিকে র্যাঙ্কিং ফ্ল্যাঞ্জ বলা হয়, পাইপিং সিস্টেমে পাইপলাইন, ভালভ এবং পাম্প খালি করার জন্য বন্ধ কভার হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
কারখানায় পাইপিং কার্যক্রম সম্পন্ন করতে নিম্নে পাইপিং পদ্ধতিতে ব্যবহৃত টুলস, সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি দেওয়া হলো।
পাইপ রেঞ্জ (Pipe Wreach): পাইলকে সংযোজন করা বা খোলার সময় এ রেজগুলো ব্যবহার করা হয়। ক) স্টিলসন প্যাটার্ন পাইল রেঞ্জ: এর দু'টি জো-তে দাঁত কাটা থাকে। এ দীপ্ত থাকার জন্য সিলিটিক্যাল কোনো ৰঘুকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে পারে। পাইপের উপরিস্থ ইউনিয়ন, সকেট খোলার জন্য এ রেঞ্জ খুৰ উপযোগী। খ) অ্যাডজাস্টেবল পাইপ ব্রেঞ্জ: এর দু'টি জো-তে দাঁত কাটা থাকে না। জো দু'টি একটি পিন দিয়ে সংযুক্ত করা থাকে। সাধারণত হেডেড যুক্ত নাট-বোল্ট খোলা- বন্ধ করার কাজে ব্যবহার করা হয়। গ) চেইন পাইপ রেঞ্জ: বড় ব্যাসের পাইপকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করার জন্য এ রেজ ব্যবহার করা হয়। টর্ক রেঞ্জ: নির্ধারিত প্রতুতকারীর তালিকা অনুযায়ী বোল্ট টাইট করা হয়। অভ্যন্তরীন ফ্রেঞ্জ সমতাকরণ টুলস: জে এবং পাইল একত্রে ওয়েল্ডিং করার পূর্বে এদের মধ্যে সমতাকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। |
ফ্রেঞ্জ সমতাকরণ পিন: দু'টি স্লেজ অংশ বোল্ট করার পূর্বে সঠিক সমতা যাচাই করে এই টুলস ব্যবহার করা হয়। ওয়াটার হুজ লেভেল: একই উচ্চতার পাইপের গঠন সমতাকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। ওয়েন্ডিং মেশিন: পাইপিং সামগ্রী জোড়া দেওয়ার কাজে উচ্চ কারেন্ট ও ইলেকট্রোভ বিশিষ্ট এ মেশিন ব্যবহার করা হয়। ফ্রেম: হেডি পাইপ এটা উপর রেখে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়। নিউমেটিক পাইপ কাটিং মেশিন: বাভাসের চাপে পাইপের সারফেসের উপর ঘুরে এ মেশিন পাইপ কাটার কাজ করে থাকে। সি রাম্প: ভিন্ন সনভার পাইপিং একত্রে ধরে রেখে ওয়েল্ডিং করার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। সেন্টার পাঞ্চ: পাইপের সারফেসের উপর কাটিং লাইন করাবর মার্কিং করার জ এটা ব্যবহার করা হয়। চেইন ব্লক: কোনো পাইলের ওজনের প্র০গুন ক্ষমতা বন্ধুকে উত্তোলন করতে এটা ব্যবহার করা হয় । ফুন্টুর মার্কার: পাইপ কাটিং এর উদ্দেশ্যে পাইপের সারফেসের উপর যে কোনো কোনে দাগ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। পেন্সিল গ্রাইন্ডার: পাইপের সংকীর্ণ স্থানে সারফেসে অথবা ছোট হোল পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহৃত হয়। পাইপ বেস্তার: কোন রকম টোপ বা অসামঞ্জস্য বঁকা ছাড়াই এটার সাহায্যে পাইপকে যে কোনো কোপে বাঁকানো যায়। পাইপ ক্লাম্প: এটা সাহায্যে পাইপ কাটিং, গ্রেডিং অথবা য়ে করার জন্য দৃঢ়তাৰে আটকানো হয়। পাইপ স্ট্যান্ড: পাইপকে নির্দিষ্ট উচ্চতায় রাখতে অথবা ওরেস্টিং বা পাইল ফিটিং কাজে সাপোর্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয় । পাইপ ভাইস: ছোট পাইপকে কাটিং, থ্রেডিং, ওয়েন্ডিং কাজে শক্তভাবে ধরে রাখতে যে কোনো স্থানে ব্যবহার করা যায়। প্রোস্টাক্টর: পাইপিং তৈরিতে যে কোনো কোনে মার্কিং করতে ব্যবহার করা হয়। স্পিরিট লেভেল: পাইলিং লে-আউট অনুযায়ী আনুভূমিক অথবা উলম্ব আছে কিনা তার সঠিকতা যাচাই করার জন্য কার করা হয়। প্রিল স্কয়্যার: দু'টি বস্তুর মধ্যে সমকোন আছে কিনা তা পরিমাপ করার জন ব্যবহার করা হয়। স্টিল টেপ: সাধারণত যে কোনো ধরনের দৈর্ঘ্য বা অন্য কিছু পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। টাওয়ার ক্রেন: এটা যে কোনো কারী পাইল বা যন্ত্রপাতি উত্তোলন করে এক স্থান হে অন্য স্থানে নেওয়া হয়। |
পাইপ হল একটি নলাকার অংশ বা ফাঁপা সিলিন্ডার, যা সাধারণত তরল এবং গ্যাস (তরল), স্লারি, গুঁড়ো এবং ছোট কঠিন পদার্থ প্রবাহিত হতে পারে। পাইপগুলি বিভিন্ন প্রকার এবং আকারে হয়ে থাকে। এগুলিকে তিনটি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা যায় ধাতব পাইপ : সিমেন্ট পাইপ এবং প্লাস্টিকের পাইপ। ধাতব পাইপের মধ্যে রয়েছে ইস্পাত পাইপ, গ্যালভানাইজড আয়রন পাইপ এবং কাস্ট আয়রন পাইপ। সিমেন্ট পাইপ কংক্রিট সিমেন্ট পাইপ এবং অ্যাসবেস্টস সিমেন্ট পাইপ অন্তর্ভুক্ত।
প্রাথমিক পাইপিং উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে ইস্পাত পাইপ, সংযোগকারী উপাদান ফ্ল্যাঞ্জ) পাইপ বেন্ড, পাইপের এলবো, টি, স্টপ এবং শাট (স্লাইড গেট এবং ভালভ) রেগুলেটিং ভালভ-এন্ড-অফ, ড্রেন ডিভাইস, সকেট জয়েন্ট, সমর্থনকারী কাঠামো এবং হ্যাঙ্গার এবং বন্ধন উপাদান, তাপ নিরোধক। গ্লোব ভালভ (Globe Valve): ভালভের মধ্যে এ ভালভ সবচাইতে বেশি ব্যবহার করা হয়। হ্যান্ডল ঘুরিয়ে ভালভের ভেতরে তরল ও বায়বীয় পদর্থের প্রবাহের দিক পরিবর্তন করে থাকে।
অ্যাঙ্গেল ভালভ (Angle Valve): তরল পদার্থের গমন পথ যদি সমকোণ হয় তবে স্টপ ভালভ হিসেবে এ ভালভ ব্যবহার করা হয়।
গেট ভালভ (Gate Valve): এটাকে সুইট ভালভও বলে। প্রধানত প্রবল চাপ ও উচ্চ গতিতে প্রবাহের পরিমাণ বেশি থাকার সময় ব্যবহৃত হয় ।
ফ্ল্যাপ ভালভ (Flap Valve): চাকতির ঘূর্ণন দ্বারা নলের খোলা অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটাকে থ্রটল ভালভও বলা হয়।
স্টপ কক (Stop Cock): ভালভ ঘুরানোর ফলে নল বন্ধ-খোলাকে কক বলে। ভালভের ট্যাপারের আনুমানিক মান প্রায় ১/৫ অর্থাৎ ট্যাপারের বড় ব্যাস ৫ এবং ছোট ব্যাস ১ অনুপাত সম্পন্ন হয়। ফলে ছিদ্রের আকৃতি বৃত্তকার, উপবৃত্তকার, আয়তাকার ইত্যাদি থাকে। প্রধানত লঘুচাপ ও ছোট ব্যাসের পাইপে ব্যবহৃত হয়।
চেক ভালভ (Check Valve): এটাকে নন-রির্টান ভালভ বলা হয়। তরল ও বায়বীয় পদার্থ শুধুমাত্র একদিকে প্রবাহ করতে এবং বিপরীত দিকে প্রবাহ রক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়।
রিডিউসিং ভালভ (Reducing Valve): এটা অনেকটা থ্রোটল ভালভের মতো। তরল ও বায়বীয় পদার্থের চাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রয়োজনীয় চাপ পর্যন্ত হ্রাস করে, হ্রাসকৃত চাপ নির্দিস্ট মাত্রায় রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। সেফটি ভালভ (Safety Valve): এটা স্প্রীং লোডেড বা ডেড ওয়েট বা ম্যাগনেটিক পদ্ধতিতে কাজ করে। তরল ও বায়বীয় পদার্থের চাপ বেশি হয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভালভ খুলে অতিরিক্ত তরল অথবা বায়বীয় পদার্থ বাইরে নিষ্কাশন করে চাপের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করার জন্য এটা ব্যবহৃত হয়।
পাইপ ফিটিং এর শ্রেণি:
ক) ফ্লেঞ্জ পাইপ ফিটিংস (Flange Pipe Fittings): পাইপের ফ্রেঞ্জ স্থাপন করে ফ্রেঞ্জ বোল্ট দ্বারা বাঁধাই হচ্ছে ফ্লেঞ্জ ফিটিংস। এটি যখন পাইপের বড় ব্যাস থাকে, পাইপের অভ্যন্তরীন চাপ বেশি থাকে এবং মাঝে মাঝে যখন অপসারণ করা প্রয়োজন হয়, তখন এটা ব্যবহার করা হয়। ঢালাই লোহার পাইপ নির্মাণের সময় ফ্লেঞ্জযুক্ত অথবা ফ্লেঞ্জহীন দুইভাবে তৈরি করা হয়। মূল পাইপ অপেক্ষা এর ফ্লেঞ্জ একটু বেশি পুরু হয়ে থাকে। ফ্লেঞ্জ মুক্ত দু'টি পাইপকে মুখোমুখি নরম ধাতুর গ্যাসকেট বসিয়ে নাট-বোল্ট দ্বারা পরস্পর সংযুক্ত করা হয়। ফ্লেঞ্জসহ পাইপ সাধারণত স্টিম, পানি, পরিশোধন ও সরবরাহ কাজে ব্যবহার করা হয়। এ পাইপের সর্বদা দৃঢ় করা হয়।
খ) গ্যাস পাইপ ফিটিংস (Gas Pipe Fittings): এটি পাইপের উভয় প্রান্তে থ্রেড কাটা সম্পন্ন জয়েন্ট। ঢালাই লোহা, পিতল, ব্রোঞ্জ ইত্যাদি দ্বারা উৎপন্ন করে পানি, তেল, বাস্প, বাতাস, গ্যাস ইত্যাদি সাধারণ জয়েন্ট, বুশ জয়েন্ট, বেন্ড জয়েন্ট ব্যবহৃত হয়।
গ) ফ্লেঞ্জবিহীন পাইপ ফিটিংস (Without Flange Pipe Fittings) : স্পিগট ও সকেট বিশিষ্ট ঢালাই লোহার পাইপ হচ্ছে ফ্লেঞ্জবিহীন পাইপ। ফ্লেঞ্জ বিশিষ্ট পাইপের সংযোগ দৃঢ় হলেও এর অসুবিধা এই যে, বড় ব্যাসের বড় পাইপকে মাটির মধ্যে স্থাপন করলে ভূমির চাপ ও অসমতলতার সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে অবস্থান করতে পারে না। ফলে কিছুদির পর ঐ সংযোগ স্থলের কাছে পাইপ ফেটে অথবা ভেঙ্গে যায়।
ঘ) ইউনিয়ন সকেট ফিটিংস (Union Socket Fittings): অপর নাম ইউনিয়ন, এটা সহজে পাইপ লাইন ফিটিং অবমুক্ত করার জন্য পাইপ লাইনে ইউনিয়ন সকেট ব্যবহার করা হয়। এটা পাইপ লাইন মেরামতের সময় লাইন খুলতে সহজ হয়। ইউনিয়নকে সহজে খোলা ও যুক্ত করা যায়। এটা সাহায্যে গ্যাস, স্টিম ইত্যাদি নিষ্কাশন বন্ধ করা যায়। এটা প্রকৃতপক্ষে দু'টি সমান ব্যাসের পাইপকে যুক্ত করে।
ঙ) রট আয়রন বা স্টিল পাইপের ফিটিংস ( Wroght Iron or Steel Pipe Fittings): এ ধাতুর পাইপগুলো সাধারণত সরু হয়ে থাকে এবং প্রান্তে স্ক্রু থ্রেড যুক্ত হয়। এ শ্রেণির পাইপে যে সকল ফিটিংস ব্যবহার করা হয় তাদের মধ্যে এলবো, টি, ক্রস, রিডিউসিং টি, ১৩৫ ডিগ্রী এলবো, ওয়াই, সকেট, ক্যাপ, প্লাগ, রানিং নিপল, বুশ, নিপল ইত্যাদি।
ট্যাপিং এর সময় ছিদ্রের মধ্যে বিভিন্ন ধাতু অনুসারে তৈল প্রয়োগ করতে হয়। এই তৈল প্রয়োগ করাকে তৈলাক্তকরণ বা লুব্রিকেশন বলা হয়। ট্যাপিং এর সময় তৈল প্রয়োগে নিম্নলিখিত সুবিধা পাওয়া যায়।
ক) কার্যবস্তুর থ্রেডের তল এবং কাটিং টুলের মধ্যে ঘর্ষণ কমিয়ে দেয়।
খ) ট্যাপ ও ডাই থ্রেড কাবার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করে।
গ) থ্রেড মসৃণ করে।
ঘ) থ্রেড কাটা সহজ হয়।
ঙ) চিপ বের হয়ে আসতে সাহায্য করে।
ট্যাপিং এর সময় ছিদ্রের মধ্যে বিভিন্ন ধাতু অনুসারে যে মসৃণকারক তেল প্রয়োগ করার প্রয়োজন, তার তালিকা নিম্নে প্রদত্ত হলো:
ধাতুর নাম | মসৃণকারক তেল |
---|---|
কাস্ট আয়রন (সাধারণ) | আবশ্যক হয় না |
কাস্ট আয়রন (খুব শক্ত) | তারপিন তেল |
মাইল্ড স্টিল | কাটিং অয়েল |
শক্ত স্টিল | কাটিং অয়েল |
ব্রাস কিংবা ব্রোঞ্জ | আবশ্যক হয় না |
অ্যালুমিনিয়াম | কেরোসিন কিংবা তারপিন তেল |
ট্যাপ রেঞ্জ (Tap Wrench): ট্যাপের মাথায় যে চতুস্কোণ অংশ আছে এর উপর রেঞ্জকে সেট করে ট্যাপকে ঘুরানো হয়। হ্যান্ড ট্যাপিং ছাড়াও লেদ মেশিনে থ্রেডের কাজ সম্পন্ন করা যায়।
ট্যাপ ড্রিল সাইজ (Tap Drill Size): ট্যাপিং অপারেশন করার পূর্বে থ্রেডের জন্য প্রয়োজনীয় ধাতু রেখে ড্রিলের সাহায্যে হোল বা গর্ত করতে হয়। এই গর্ত বা ছিদ্রকে ট্যাপ সাইজ বা ট্যাপ সাইজ ড্রিল বলে। ট্যাপ ড্রিল সাইজ বড় হলে থ্রেডের গভীরতা কম হবে ফলে থ্রেড সংযোগ ঢিলা হয় এবং ছোট হলে ছিদ্রের মধ্যে ট্যাপ আটকে যাবে ফলে অতিরিক্ত চাপে ট্যাপ ভেঙ্গে যেতে পারে। ট্যাপের বাহিরে মাপ থেকে থ্রেডের উভয় দিকের গভীরতার মাপ বিয়োগ করলে থ্রেডের কোর ডায়ামিটার পাওয়া যায় এবং এই মাপে ধাতুখন্ডের মধ্যে ছিদ্র করতে হয়। ট্যাপ ড্রিল সাইজ নির্ণয় করতে নিচের সূত্রাবলী ব্যবহৃত হয়।
ট্যাপ ড্রিল সাইজ, T. D.S = D - P অথবা
এখানে,
D = থ্রেড বা ট্যাপের সাইজ
TPI = থ্রেডের পিচ সংখ্যা
মেট্রিক প্রণালিতে সকল পরিমাপ মিলিমিটার এবং আমেরিকান ন্যাশনাল ও বিট্রিশ প্রণালিতে সকল পরিমাপ ইঞ্চিতে হবে।
উদাহরণ-১
১/২ ইঞ্চি বি.এস.ডব্লিউ (B.SW) থ্রেডের জন্য ট্যাপ ড্রিল সাইজ নির্ণয় কর।
সমাধান:
সাধারণ কাজের জন্য-
ট্যাপ ড্রিল সাইজ = আউট সাইড ডায়ামিটার,½ ইঞ্চি – 1.13 / 12 [ যেহেতু বিএসডব্লিউ
থ্রেড ১২ টিপিআই থাকে]
TD.S = 0.500 - 0.0982 = 0.8058 ইঞ্চি = 13/32 ইঞ্চি
উত্তর : সাধারণ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ট্রাপ ড্রিল সাইজ হবে ১৩/১২ ইঞ্চি।
উদাহরণ- ২
১২ মি.মি ডায়ামিটার ইন্টারন্যাশনাল মেট্রিক থ্রেডের জন্য ট্যাপ ডিল সাইজ নির্ণয় কর।
সমাধান:
আমরা জানি ইন্টারন্যাশনাল মেট্রিক থ্রেডের গভীরতা – ০.৬৪৯৫ x পিচ এবং ১২ মি.মি ডায়ামিটার থ্রেডের পিচ হবে ১.৭৫ মি.মি।
অতএব, থ্রেডের গভীরতা = ০.৬৪৯৫ × 1.75 = 1.1336625 মি.মি ট্যাপ ড্রিল সাইজ ৭৫% হতে ৮৮% পর্যন্ত গভীরতায় গ্রেড উৎপন্ন করে।
যদি ৭৫% গভীরতা হিসাব করা হয়,
ট্যাপ ড্রিল সাইজ – বাহিরের ব্যাস – (০.৭৫x থ্রেডের গভীরতা x ২) - 12 – (0.75 x ০.৬৪৯৫ x 1.75 × 2) = 10.29৫ মি.মি যদি ৮৮% গভীরতা হিসাব করা হয়,
ট্যাপ ড্রিল সাইজ - বাহিরের ব্যাস (০.৮৮ x ব্রেডের গভীরতা x ২) - ১২ – (০.৮৮ x 0.6495 x ১.৭৫ × ২) = ১০ মি. ম অর্থাৎ হিসাব করলে দেখা যায়, ট্যাপ ড্রিল সাইজ উভয় সূত্রের ক্ষেত্রে তেমন কোনো তারতম্য নাই।
ডাই এক প্রকার মেটাল কাটিং টুল যা গোলাকার বস্তুর বাইরের ক্ষু-থ্রেড বা প্যাঁচ উৎপন্ন করতে ব্যবহার করা হয়। এটা হাই কার্বন স্টিল বা হাই স্পীড স্টিল দ্বারা তৈরি হয়। এর থ্রেড অংশ শক্ত ও টেম্পার করা থাকে। ডাই স্টক এর মধ্যে শক্তভাবে আটকায়ে ওয়ার্কপিসের উপর ঘুরিয়ে থ্রেড উৎপন্ন করা হয়।
ডাই দু'ধরনের হয়ে থাকে-
ক) সলিড ডাই – এটা একটি নির্ধারিত ব্যাসের স্ক্রু-থ্রেডের তৈরি করা জন্য ব্যবহার করা হয়। এই প্রকারের ডাই সাধারণত ছোট মাপের স্ক্রু তৈরিতে বেশি ব্যবহৃত হয়। এসব ডাই দ্বারা থ্রেডের আকৃতি বা ফৰ্ম একসাথে পাওয়া যায়। খ) অ্যাডজাস্টেবল ডাই - এ প্রকার ডাই এর ব্যাস কামানো বাড়ানো যায়। এই ডাইগুলি বড় ব্যাসের
- ওয়ার্কপিসের উপর থ্রেড কাটতে ব্যবহৃত হয়।
১) কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী পাইপ নির্বাচন করতে পারব;
২) ফিটিংস এর সঠিকতা যাচাই করতে পারব;
৩) প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকৃত পরিমাপের কার্যক্ষমতা চেক করতে পারব;
৪) পাইপ ফিটিংসমূহ যথাস্থানে ব্যবহার ও সংরক্ষণ করতে পারব;
সুরক্ষা সরঞ্জামের নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
সেফটি সু | সাইজ অনুযায়ী | ১ জোড়া |
গগলস | মানসম্মত | ১টি |
হ্যান্ড গ্লাভস | সাইজ অনুযায়ী | ১ জোড়া |
অ্যাপ্রোন | মানসম্মত | ১টি |
মাস্ক | মানসম্মত | ১টি |
যন্ত্রপাতির নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
ফ্লাট স্ক্রু ড্রাইভার | ৬ ইঞ্চি | ১টি |
ফিলিপস স্ক্রু ড্রাইভার | ৬ ইঞ্চি | ১টি |
পাইপ ভাইস | মানসম্মত | ১টি |
হ্যাকস | মানসম্মত | ১টি |
পাইপ গ্রেড কাটিং ডাই | মানসম্মত | ১ সেট |
মার্কিং টুল | মানসম্মত | ১টি |
ইকুইপমেন্ট এর নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
এক টুকরা পাইপ | ২ ইঞ্চি | ২ ফিট |
মালামালের নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
ডাস্টার ক্লথ | সুতি কাপড়ের | ১টি |
লুব ওয়েল | এস এই ৩০ | অর্ধ লিটার |
WD40 (মরিচা প্রতিরোধক) স্প্রে | স্প্রে কন্টেইনার | ১টি |
পেইটিং ব্রাশ | পরিমানমত | ১টি |
ওয়ার ব্রাশ | পরিমানমত | ১টি |
সিলিং কম্পাউন্ড | পরিমানমত | ১টি |
১. মালামালের তালিকা অনুযায়ী যন্ত্রপাতি, ইকুইপমেন্ট ও মালামাল সংগ্রহ করি।
২. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম সংগ্রহ ও পরিধান করি।
৩. প্রথমে চিত্রের ন্যায় পাইপের টুকরাটি ভাইসের মধ্যে আটকাও।
৪. ভাইসের স্পিন্ডল ডান মোচড়ে ঘুরিয়ে পাইপকে মৃদু চাপে আটকাতে হবে বা অনড় করতে হবে
৫. ৩০ ডিগ্রী কোণে সম্মুখ দিকে ঢালু করে পাইপের চিহ্নিত অংশের উপর হ্যাক’স স্থাপন করতে হবে।
৬.এ অবস্থায় শুধুমাত্র সামনের দিকে স' বার চালনা করতে হবে।
৭. এবার হ্যাক’সকে আনুভূমিক অবস্থায় রেখে প্রতি মিনিটে ৪০-৫০ বার এবং পরিমিত চাপে চালনা করতে হবে।
৮. ডান হাতকে হ্যাক'স চালনার জন্য ব্যবহার করতে হবে এবং বাঁ হাতের সাহায্যে হ্যাক'স ফ্রেমকে লম্বভাবে ধরে রাখতে হবে যেন কর্তন কোনো দিকে বাঁকা কিংবা মোচড় খেতে না পারে।
৯. এভাবে পাইপ কর্তনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
কাজ করার সময় অব্যশই পিপিই পরিধান করতে হবে।
সঠিকভাবে টুলসের ব্যবহার নিশ্চিত হতে হবে।
কাজের সময় অমনোযোগী হওয়া যাবে না।
• যদি বোঝতে সমস্যা হয় তবে শিক্ষক এর সহায়তা নিতে হবে।
• শিক্ষক এর অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো কাজ করা যাবে না।
পাইপ কর্তনের সময় সঠিক হিসেব করে সাবধানতার সাথে ব্যাবহারিক কার্য সম্পাদন করতে হবে।
এই জব সম্পন্ন করে একটি দক্ষতার সাথে পাইপ কর্তন কার্য সম্পাদন করতে পারব।
১। পাইপ বলতে কী বোঝায় ?
২। পদার্থের উপর ভিত্তি করে পাইপকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
৩। নিপল কি কাজে ব্যবহার করা হয়?
৪। পাইপ জোড়া কত প্রকার? যে কোনো দু'টি জোড়ার নাম লেখ।
৫। বেন্ড কোথায় ব্যবহার করা হয়?
১। রিডিউসিং ও সেফটি ভালভের মধ্যে পার্থক্য লেখ।
২। পাইপিং পদ্ধতিতে ব্যবহৃত টুলস-এর নাম লেখ ।
৩। কোন কোন মেটারিয়াল-এর জন্য কোন ধরনের লুবঅয়েল ব্যবহার করা হয়?
৪। টেপ কাটিং-এর সময়ে লুব অয়েল ব্যবহারের সুবিধা কী?
৫। পাইপ ফিটিং-এর শ্রেণীবিন্যাস করো।
১। ডাই কাটিং-এর কার্যপদ্ধতি আলোচনা করো।
২। বিভিন্ন ধরনের ফ্লেঞ্জ আলোচনা করো।
রিক্সা আমাদের প্রিয় বাহন। এই প্রিয় বাহনটি চলার সময় লক্ষ্য করি রিক্সার ড্রাইভার সাহেব অনেক চেষ্টা করেও কাঙ্খিত গতিতে রিক্সা চালাতে পারছেন না। আবার কোনো কোনো সময় বিরক্তিকর কর কর শব্দ হয়। সচরাচর রিক্সার ড্রাইভার সাহেবকে প্রশ্ন করি, চাচা শব্ধ কিসের? ড্রাইভার সাহেব বলেন আজ গিয়ারে এবং চেইনে তেল দেওয়া হয় নাই তাই শব্ধ হয় এবং রিক্সায় গতি পাই না। তেল দেওয়া থাকলে রিক্সায় শব্দ হত না এবং রিক্সায় সুসমগতি পেত। এখন আমরা বলতে পারি একটি ঘূর্ণায়মান বস্তু এবং একটি স্থির বস্তুর মাঝে অথবা দুই বা ততোদিক ঘুর্ণায়মান যন্ত্রাংশের অংশে ঘর্ষনে তাপ ও শব্দ উৎপন্ন হয় এবং যন্ত্রাংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। তাই তাপ ও শব্দ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পিচ্ছিলকারক পদার্থ প্রয়োগ করা হয়। ফলে তাপ ও শব্দ কমে, মেশিনটির আয়ু বৃদ্ধি পায়, কাজটি সুষম হয়। কাটিং তরলগুলি মেশিন প্রক্রিয়াকে শীতল ক্রিয়া এবং তৈলাক্তকরণ করতে সহায়তা প্রদান করে। কাটিং তরল নির্বাচন এবং প্রয়োগের জন্য ফাংশন, বৈশিষ্ট্য, শ্রেণিবিভাগ এবং নির্দেশিকা এই অধ্যায়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
কোন ঘুর্ণয়মান যন্ত্র বা যন্ত্রাংশের মধ্যে যে তরল বা সলিড পদার্থ ব্যবহার করা হয়, তাকে লুব্রিকেন্ট বলে। লুব্রিকেন্ট হল এমন একটি পদার্থ যা পরস্পর এর উপর ক্রিয়াশীল পৃষ্ঠের মধ্যে ঘর্ষণ এবং ক্ষয় কমিয়ে কঠিন বস্তুর আপেক্ষিক গতির সুবিধার্থে ব্যবহৃত হয়। লুব্রিকেন্ট বা তৈলাক্তকরণ হল পৃষ্ঠের মধ্যে একে অপরের সাপেক্ষে চলমান স্পর্শ পৃষ্ঠের মধ্যে ঘর্ষণ হ্রাস করা, কম শিয়ার শক্তি প্রবর্তন করা।
সচরাচর চার ধরনের লুব্রিক্যান্ট পাওয়া যায়, যথা-তরল (liquid), কঠিন (solid), অর্ধ-কঠিন (semi -solid) ও গ্যাসীয় (gases)।
১। তরল (Liquid): মবিল, গিয়ারওয়েল,
২। কঠিন (Solid): গ্রাফাইড, বোরিক পাউডার,
৩। অর্ধ-কঠিন (Semi-Solid): গ্রীজ, ভ্যাসলিন ও তেল-চর্বি জাতীয় পদার্থ ।
৪। গ্যাসীয় (Gases): বাতাস (air) নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ও হিমিয়াম।
পিস্টন, পাম্প, ক্যাম, বিয়ারিং, টারবাইন, গিয়ার, রোলার চেইন, কাটিং টুল ইত্যাদির মতো যান্ত্রিক সিস্টেমের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য তৈলাক্তকরণ প্রয়োজন। তৈলাক্তকরণ ছাড়াই নিকটবর্তী পৃষ্ঠের মধ্যে চাপ ও তাপ উৎপন্ন করবে। যার ফলে পৃষ্ঠগুলিকে একসাথে লেগে খিঁচুনি হতে পারে। অর্থাৎ বলা যায় উক্ত পৃষ্ঠতলে ক্ষতি হতে পারে। পিস্টন এবং সিলিন্ডারের ওয়াল মাঝে ওয়েল ফিল্ম সিল করে দেয়, ফলে দহন প্রকোষ্ঠে উৎপন্ন গ্যাস ক্র্যাঙ্ককেসে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। চাপযুক্ত তৈলাক্তকরণের জন্য একটি তেল পাম্প এবং একটি তেল ফিল্টার প্রয়োজন হয়, যা একটি ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশে তৈলাক্তকরণের করে থাকে। যেখানে চাপযুক্ত ফিডের প্রয়োজন হয় না সেখানে স্প্ল্যাশ পদ্ধতিতে লুব্রিকেশন করা হয়ে থাকে।
লুব্রিকেন্ট বা পিচ্ছিলকরণ তেল তরল, কঠিন, বা প্লাস্টিক পদার্থ হতে পারে। তেল সিন্থেটিক, উদ্ভিজ্জ, খনিজ ভিত্তিক বা এগুলির সংমিশ্রণ যা পরিবেশ ও কাজের উপযোগী উপর নির্ধারন করে পিচ্ছিলকরণ তেল ব্যবহার করা হয়। যেখানে চরম অবস্থা অর্থাৎ চাপ ও তাপমাত্রা বেশী সেখানে সিন্থেটিক তেল, পরিবেশ বান্ধব এর ক্ষেত্রে উদ্ভিজ তেল ব্যবহার করা হয়। যে পরিবেশে তাপমাত্রা চরমে যায়, ঠান্ডা হতে গরম, সেখানে তেলের সান্দ্রতার পরিবর্তন ঘটে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সান্দ্রতা বাড়ে এবং ঠান্ডা অবস্থায় সান্দ্রতা কমে। পিচ্ছিলকরণ তেলে অ্যাডিটিভস যুক্ত করে তেলের বৈশিষ্ট্য বৃদ্ধি করা হয়। তেলের ধরনের উপর নির্ভর করে অ্যাডিটিভের পরিমাণ নির্ধারন করা হয়।
তৈলাক্তকরণ হল ঘর্ষণ এবং চলমান পৃষ্ঠের মধ্যে ঘর্ষণ হ্রাসকারী ফিল্মের প্রবর্তনের মাধ্যমে ক্ষয় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যন্ত্রাংশ ক্ষয়ের অপদ্রব্যসমূহ তেলের সাথে মিশে ওয়েল সাম্প-এ যায় পরে সঞ্চালনের সময় ফিল্টার হয়ে পাম্পের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। একটি লুব্রিকেন্টের প্রাথমিক কাজগুলি হল :
ঘর্ষণ কমানো ;
ক্ষয় প্রতিরোধ করা;
মরিচা থেকে সরঞ্জাম রক্ষা করা;
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা;
দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা;
পাওয়ার স্থানান্তর হিসেবে কাজ করা;
তরলের সীল প্রদান করা ইত্যাদি।
কখনও কখনও ঘর্ষণ হ্রাস এবং ক্ষয় প্রতিরোধের ফাংশনগুলি বিনিময়যোগ্যভাবে ব্যবহৃত হয়। যাইহোক, ঘর্ষণ, হল গতির প্রতিরোধ, এবং ক্ষয় হল ঘর্ষণ যা প্রতিরোধে আনে ক্লান্তি বা মন্দন এবং ক্ষয়ের ফলে উপাদানের ক্ষতি। ঘর্ষণ হ্রাস করা তৈলাক্তকরণের একটি মূল উদ্দেশ্য, তবে এই প্রক্রিয়াটির আরও অনেক সুবিধা রয়েছে। তৈলাক্ত ফিল্মগুলি জল এবং অন্যান্য ক্ষয়কারী পদার্থ থেকে পৃষ্ঠকে রক্ষা করে ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। উপরন্তু, তারা সিস্টেমের মধ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ-এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লুব্রিকেন্ট দূষক পরিবহনে একটি প্রবাহী হিসাবে কাজ করে এবং পৃষ্ঠ থেকে তাপ শোষণ মাধ্যমে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
লুব্রিকেন্টের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ উপস্থাপন করা হল:
ক) ভোলাটিলিটি:
এটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় লুব্রিকেন্টের বাষ্পীভূত হওয়ার ক্ষমতাকে প্রতিনিধিত্ব করে। মেশিনের কাজের সময় তাপমাত্রা বেশি হলে, লুব্রিকেন্ট বাষ্পীভূত হতে শুরু করে ফলে লুব্রিকেন্টের বৈশিষ্ট্যগুলি নষ্ট হয়ে যায়। একটি ভাল লুব্রিকেন্ট সবসময় কম উদ্বায়ীতা থাকা উচিত।
খ) এডিসিভিটি : (ভেজাযোগ্যতা)
দুটি পৃষ্ঠকে একে অপরের থেকে আলাদা রাখার জন্য বেশিরভাগ লুব্রিকেন্টের ধাতব পৃষ্ঠে আটকে থাকার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি ভাল লুব্রিকেন্ট পৃষ্ঠে লেগে থাকার বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত।
গ) অয়েলনেস:
যখন লুব্রিকেন্ট উচ্চ চাপের শিকার হয় তখন দুটি চলমান ধাতব পৃষ্ঠের মধ্যে তেলের একটি ফিল্ম তৈরি হয়। ভাল লুব্রিকেটিং তেলের বৈশিষ্ট্য হল চাপ বেশি হলেও পৃষ্ঠে লেগে থাকা
ঘ) ফ্ল্যাশ পয়েন্ট:
এটি সেই তাপমাত্রা যেখানে লুব্রিকেটিং তেল-এ শিখা ধরার পরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জ্বলতে থাকে। একটি ভাল লুব্রিকেন্টের উচ্চ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট থাকা উচিত।
ঙ) ফায়ার পয়েন্ট:
এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বাষ্পে আগুন ধরে যায় এবং যদি শিখাটি আনা ফলে ক্রমাগত জ্বলতে শুরু করে। একটি ভাল লুব্রিকেন্টের উচ্চ ফায়ার পয়েন্ট থাকা উচিত।
চ) সারফেস টেনসাইল:
এটি সমন্বিত শক্তির কারণে লুব্রিকেন্ট উপরের পৃষ্ঠে বুদবুদ তৈরি করে। একটি ভাল লুব্রিকেন্ট বুদবুদ গঠন করা উচিত নয়।
কোন ধাতব বস্তু কর্তনের সময় যে তরল ব্যবহার করা হয় তাকে কুল্যান্ট বলে। কুল্যান্ট হচ্ছে মেশিনিং গ্রাইন্ডিং, মিলিং এবং টার্নিং কার্যক্রমের একটি অংশ। এটা টুলের আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে এবং মেশিন করা অংশগুলির একটি উন্নত পৃষ্ঠের ফিনিস প্রদান করে। মেশিন এবং অপারেশনের উপর ভিত্তি করে কুল্যান্ট নির্বাচন ও শ্রেণি বিভাগ করা হয়ে থাকে।
কুল্যান্ট কাটিং টুলের উৎপন্ন তাপকে কমাতে সাহয্য করে। কাটিং টুলের জীবনিশক্তি বাড়ায়। কার্য বস্তুতে মরিচা পড়তে বাধা দেয়। কাটার গতিকে সহজ করে। কাটিং ফ্লুইড একটি তরল যা বিশেষত ঠাণ্ডা, তৈলাক্তকরণ, মরিচা প্রতিরোধ, বা চিপ ফ্লাশ করার জন্য একটি মেশিন মেটাল-কাটিং অপারেশনে বা অন্যান্য ধাতব কাজের ক্রিয়াকলাপে বিশেষ প্রভাবের জন্য ব্যবহৃত হয়।
তিনটি মৌলিক ধরনের কাটিং ফ্লুইড আছে-
ক) Water based emulsions: তরল কুল্যান্ট মানে পানি ভিত্তিক তেলের ইমালসন। পানি একাই একটি উত্তম তাপ পরিবাহী কিন্তু আমরা এটিকে ক্ষয়কারী এবং অতৈলাক্ত ক্রিয়া করার কারণে কাটিং তরল হিসাবে - -ব্যবহার করতে পারি না। সঠিক কাটিং তরল তৈরি করতে পানিতে খনিজ তেল যোগ করা হয় যা আধা সিন্থেটিক কুল্যান্ট নামে পরিচিত। কিছু অন্যান্য তরল কাটিং হল কেরোসিন, মোটর তেল ইত্যাদি যা বিশেষ মেশিনিং অপারেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
খ) Straight mineral oils: সেমিসলিড কাটিং ফ্লুইড হল এক ধরণের জেল এবং পেস্ট যা কিছু বিশেষ - অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহার করা হয় যেখানে তরল কাটিং কাজ করতে পারে না যেমন ড্রিলিং, বোরিং এবং ট্যাপিং অপারেশন। সেমিকম পরিমাণে সলিড কাটিং ফ্লুইড তরল কাটিং চেয়ে ব্যয়বহুল তবে এগুলো- ব্যবহার করে এবং অবিচ্ছিন্ন সরবরাহের প্রয়োজন হয় না।
গ) Mineral oils with additives (Neat oils): এরোসল মানে কুয়াশা অর্থাৎ তরল কাটিংএর সহিত খনিজ কণাযুক্ত বাতাস। আমরা এটি ব্যবহার করি যেখানে শুধুমাত্র তরল কাটিং কাজ করতে পারে না। সংকুচিত বাতাস ব্যবহার করে তরল সঠিকভাবে পরমাণুযুক্ত হয়। অ্যারোসলের সাথে কাজ করা অপারেটরের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে তাই এই ধরনের কাটিং তরল ব্যবহার করার সময় সঠিক বায়ুচলাচল এবং ভাল সরঞ্জাম প্রয়োজন।
কম সান্দ্রতা
অপারেটরের জন্য ক্ষতিকর মুক্ত
একটি ভাল স্বচ্ছতা
• নিম্ন পৃষ্ঠ টান
ভাল লুব্রিকেটিং বৈশিষ্ট্য
ফেনা গঠন করা
গন্ধহীন হওয়া
রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয় হওয়া
উচ্চ তাপ শোষণ ক্ষমতা উচ্চ তাপমাত্রায় স্থিতিশীল হওয়া
উচ্চ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট থাকা
উচ্চ তাপ পরিবাহিতা থাকা
হাই-স্পিড স্টিল (HSS) টুলস আবিষ্কৃত হওয়ার আগে, কাটিং তরল নির্বাচন করতে কোন সমস্যা ছিল না, এবং কুল্যান্ট হিসাবে পানি ব্যবহার করা হত কারণ মেশিনিং অনেক ধীর গতি ছিল। কিন্তু এইচএসএস টুলস আবিষ্কৃত হওয়ার পরে, উচ্চ গতির মেশিনিংয়ের কারণে-উৎপন্ন তাপ বেশি হওয়ায় পানি উপযুক্ত ছিল না। সুতরাং, বিভিন্ন মেশিনিং প্রক্রিয়া জন্য বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে কাটিং তরল তৈরি করা হয়। মেশিনিং প্রক্রিয়ায় কাটিং তরল নির্বাচন বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। কাটিং তরল নির্বাচন এর প্রধান কারণগুলি নীচে দেওয়া হল:
i) মেশিনিং প্রক্রিয়ার ধরন
সাধারণত, ভারি মেশিনিং প্রক্রিয়া যেমন ব্রোচিং বা ট্যাপ দিয়ে স্ক্রু করার জন্য ভারী কাটিং তেলের প্রয়োজন হয়। অনুভূমিক ব্রোচিংয়ে ভারী কাটিং তেল ব্যবহার করতে হবে তবে উল্লম্ব ব্রোচিং প্রক্রিয়াতে ইমালশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
থ্রেডিং এবং ড্রিলিং প্রক্রিয়ার জন্য, কাটিং তরল বৈশিষ্ট্যগুলি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
ii) ওয়ার্কপিস উপাদান
কাটিং তরল নির্বাচনের জন্য পরবর্তী ফ্যাক্টর workpiece উপাদান যা ঢালাই লোহা বা ঢালাই গ্রুপের উপাদানগুলি মেশিনিং করার সময় ছোট চিপগুলি তৈরি করে খুব বেশি ঘর্ষণ সৃষ্টি করে না। তাই তরল ইমালসন ব্যবহার করা উচিত কারণ এটি পৃষ্ঠের ফিনিস বাড়ায় এবং ঘনত্ব ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে রাখা উচিত।
ইস্পাত এবং স্টেইনলেস স্টীল ওয়ার্কপিস উপাদানের জন্য, উচ্চ চাপ কাটিং তেল ব্যবহার করা উচিত। ইস্পাত সংকর মেশিনিং এর জন্য, পানিভিত্তিক কাটিং তরল ব্যবহার করা হয় কারণ এ কাটিং তরল তাপ - প্রতিরোধী।
iii) কাটিং টুলের উপাদান
কুল্যান্ট নির্বাচনের জন্য আরেকটি ফ্যাক্টর কাটিং টুল উপাদান। যে কোন ধরণের মেটাল কাটার জন্য উচ্চ- গতির ইস্পাত কাটিং টুল ব্যবহার করা হয়। এইচএসএস কাটিং টুল ক্ষেত্রে পানি বিহীন তরল ব্যবহার করা হয়।
টাংস্টেন কার্বাইডের জন্য, কাটিং ফ্লুইডের বৈশিষ্ট্যগুলি বেশ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটির অনুপস্থিতিতে উচ্চ তাপ উৎপন্ন হয়।
কাটিং তরল বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। নিচে কিছু ব্যবহার এর তালিকাভুক্ত করা হলো:
(১) কুল্যান্ট হিসাবে ব্যবহৃত :
কাটিং তরল এর প্রধান ফাংশন হল টুল এবং ওয়ার্কপিস ঠান্ডা করা। টুল এবং ওয়ার্কপিস ঠান্ডা করার মাধ্যমে, আমরা টুলের ক্ষয়, টুলের তাপীয় প্রসারণ এবং একটি ভাল পৃষ্ঠ ফিনিস পেতে পারি।
২) তৈলাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত :
কাটিং তরলও তৈলাক্তকরণের জন্য ব্যবহার করা হয়। তৈলাক্তকরণের মাধ্যমে, চিপস এবং অন্যান্য দূষক সহজেই ওয়ার্কপিস থেকে সরানো যেতে পারে।
৩) মেশিনিং এলাকা পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত : কাটিং ফ্লুইডগুলিকে ক্লিনিং এজেন্ট হিসাবেও ব্যবহার করা হয় এবং মেটাল কাটার স্থান এবং মেশিনের আশেপাশের জায়গা ধুলো অপসারণ করা হয়।
৪) ঘর্ষণ কমাতে ব্যবহৃত :
কাটিং ফ্লুইড টুল এবং ওয়ার্কপিসের মধ্যে ঘর্ষণকেও কমিয়ে দেয় যা কাটিং ফোর্সকে কম রাখে এবং তাপ উৎপাদনও কম করে।
৫) এটি নতুন উৎপন্ন পৃষ্ঠকে অর্থাৎ মেটাল কাটিং এর পরবর্তী পৃষ্ঠ জারণ এবং ক্ষয় থেকে রক্ষা করে পৃষ্ঠের ফিনিস উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়।
৬) এটি মরিচা প্রতিরোধ করতে ব্যবহৃত হয়।
৭) এটি উচ্চ কাটিং গতি এবং বৃহত্তর ধাতু অপসারণের হার ব্যবহারের সাহায্য করে।
৮) এটি বিল্ট) আপ প্রান্ত BUE) গঠনে বাধা দেয়।
৯) এটি কাটিং জোন থেকে চিপগুলি সরাতেও ব্যবহৃত হয়।
মেশিনিং প্রক্রিয়ায় কুল্যান্টের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির মধ্যে রয়েছে:
• কাটিং জোন এবং ওয়ার্কপিসে উৎপন্ন তাপ কমানো ও অপসারণ করা
• টুল এবং চিপ অপসারণের মধ্যে ঘর্ষণ কমাতে কুলেন্ট প্রয়োগ করা হয়
• কাটিং এলাকা হতে চিপস এবং ছোট কণা সরায়ে ফেলতে সাহায্যে করে
• টুলকে ক্ষয়ের হাত হতে রক্ষা করে
• মরিচা প্রতিরোধে সহায়তা প্রদান করে
যন্ত্রের মেশিনিং প্রক্রিয়ার ধরনের উপর ভিক্তি করে কুলেন্টের মিশ্রণ অনুপাত বা ঘনত্ব নির্ধারণ করে শীতকরণ ও তৈলাক্তকরণের ভারসাম্যতা রক্ষা করে। চর্বিযুক্ত মিশ্রণ বা ঘনীভূত মিশ্রণ কুলেন্ট বেশী শীতল এবং তৈলাক্তকরণ করতে সহায়তা করে। মেশিনিং প্রক্রিয়া চলাকালীন কুল্যান্ট মিশ্রণ কাটিং এলাকা হতে চিপস ও অন্যান্য অপদ্রব্য বা কণাগুলো ধুয়ে মেশিনে রক্ষিত কুলেন্ট আধারে সংগ্রহ করে। পরবর্তিতে কুলেন্ট আধারে অবস্থিত পাম্প-এর মাধ্যমে ফিল্টার হয়ে কাজের এলাকায় কুলেন্ট পুনঃসরবরাহ করা হয়। কুল্যান্ট আধারকে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য অথবা উহার আয়ুকাল বৃদ্ধির লক্ষে মাঝে মাঝে আধারের তলানিতে জমে থাকা অপদ্রব্যসমূহ পরিষ্কার করা প্রয়োজন। কারন বিভিন্ন ধরনের ধাতু তেলের বা কুল্যান্ট এর সাথে বিক্রিয়া করে বিষাক্ত অক্সিডেশন সৃষ্টি করে ফলে আধারে মরিচা ধরে নস্ট হয়ে যেতে পারে।
যদি কুল্যান্টের যথাযথ ঘনত্বের মাত্রা বজায় না রাখা হয়, তবে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হল কম ঘনত্ব। যদি কুল্যান্টের ঘনত্ব মেশিন কুল্যান্ট সরবরাহকারীর ন্যূনতম অনুপাতের নিচে থাকে, তাহলে ঝুঁকি রয়েছে:
• মেশিন এবং workpiece মরিচা পড়া
• কাটিং টুলের আয়ু কমা
• ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পাওয়া
অন্যদিকে, কুল্যান্টের ঘনত্ব খুব বেশি হলে
• কম তাপ স্থানান্তর করে
ফেনার সৃষ্টি হওয়া
তৈলাক্তকরণ হ্রাস পাওয়া
কাজে অনিহা সৃস্টি হওয়া
• কাটিং টুলের আয়ু কমা
• মেশিন এবং যন্ত্রাংশের দাগ সৃষ্টি করে
• বিষাক্ততা বৃদ্ধি করে
প্রতিটি দিনের শুরুতে, গ্রহণযোগ্য ঘনত্বের স্তর বজায় রাখার জন্য কুল্যান্টটি পরীক্ষা করা উচিত। দৈনিক কাটিং এবং গ্রাইন্ডিং প্রক্রিয়ায় কুল্যান্টের তরল ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য হ্যান্ড রিফ্র্যাক্টোমিটার এর মাধ্যমে ঘনত্বের মাত্রার পরীক্ষা করার একটি দুর্দান্ত উপায়। মেশিনের কুল্যান্টের ঘনত্ব বাষ্পীভবন, স্প্যাশিং, মিস্টিং ও ড্যাগআউট থেকে প্রতিদিন ৫% থেকে ২০% পরিবর্তিত হতে পারে। প্রতিটি মেশিনের সিস্টেমটি কীভাবে কাজ করছে তার জন্য ঘনত্বের মাত্রার দৈনিক লগ রাখা এবং দিনে দিনে কত ঘনত্বের মাত্রা পরিবর্তিত হয় তা বোঝা যায়।
মেশিনের ধরন এবং ধাতুগুলির জন্য সঠিক কুল্যান্ট নির্বাচন করে এবং কুল্যান্ট এর ঘনত্বের মাত্রা বজায় রাখার মাধ্যমে সরঞ্জাম ও মেশিনের আয়ু বাড়ায়।
কুল্যান্ট ও লুব্রিকেন্ট এর মধ্যে পার্থক্য-
কুল্যান্ট | লুব্রিকেন্ট |
---|---|
কুল্যান্টের মূল উদ্দেশ্য হল কাটিং জোন থেকে | উৎপন্ন তাপ সরায়ে নেওয়া এবং কাটিং জোনের তাপমাত্রা কম রাখা। | লুব্রিকেন্টের মূল উদ্দেশ্য হল কাটার এবং চিপের রেকের পৃষ্ঠের মধ্যে ঘর্ষণ সহগ হ্রাস করা এবং এর ফলে তাপ উৎপাদনের হার কমানো। |
উৎপন্ন তাপের উপর কুল্যান্ট কাজ করে। এটি তাপ উৎপাদনের হার কমাতে পারে না। | লুব্রিকেন্ট তাপ উৎপাদনের হার কমাতে পারে। এটি ইতিমধ্যে উত্পন্ন তাপ অপসারণ কোন প্রভাব আছে |
কাটিং টুলের উপর কুল্যান্ট আবরণ হিসাবে কোন ভূমিকা নেই | কাটিং টুলের উপর আবরণ স্তর কখনও কখনও লুব্রিকেন্ট হিসাবে কাজ করে |
ভাল কুল্যান্ট হিসাবে কাজ করতে, কাটিং তরল উচ্চ নির্দিষ্ট তাপ গ্রহণকারী ক্ষমতা থাকা উচিত | ভাল লুব্রিকেন্ট হিসাবে কাজ করার জন্য, কাটিং ফ্লুইডের উচ্চ লুব্রিসিটি থাকা উচিত |
উচ্চতর নির্দিষ্ট এনটিপিতে প্রায় ৪.১৮ জুল/গ্রাম °C তাপ হওয়ার কারণে জলকে একটি ভাল কুল্যান্ট হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যে জল অত্যন্ত ক্ষয়কারী, সেটা খুব কমই কাটিং তরল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। | জল একটি ভাল লুব্রিকেন্ট নয়। এটির দুর্বল তৈলাক্তকরণ ক্ষমতা বা কম তৈলাক্ততা রয়েছে। |
১. টুলস ও ইন্সট্রুমেন্টস এর ঘূর্ণায়মান অংশসমূহ চিহ্নিত করতে পারব;
২. লুব্রিকেটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করতে পারব
৩. চিহ্নিত ঘূর্ণায়মান অংশসমূহের জন্য পুরিক্যান্ট নির্ধারণ করতে পারব;
৪. টুলস, ইন্সট্রুমেন্ট, ইকুইপমেন্ট ও মেশিনসমূহ লুব্রিকেটিং করতে পারব;
৫. মেশিন কম্পোনেন্টসমূহে শুনিকেটিং করতে পারব;
৬. লুব্রিকেটিং কাজে বিশেষ টুলসমূহ ব্যবহার করতে পাৱৰ
৭. মুরিফেটিং কাজের জন্য একটি সিডিড প্রভূক্ত করতে পারব;
সুরক্ষা সরঞ্জামের নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
সেফটি সু | মানসম্মত | ১ জোড়া |
গগলস | মানসম্মত | ১টি |
হ্যান্ড গ্লাভস | মানসম্মত | ১ জোড়া |
অ্যাপ্রন | সাইজ অনুযায়ী | ১টি |
মাস্ক | সাইজ অনুযায়ী | ১টি |
যন্ত্রপাতির নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
অ্যাডজাস্টেবল রেঞ্চ | ৬-১২ ইঞ্চি | ১ সেট |
স্ক্রু ড্রাইভার | ফ্লাট, ফিলিপস | ১ সেট |
স্ক্র্যাপার | বিভিন্ন মাপের | ১ সেট |
প্লায়ার্স | কম্বিনেশন | ১ সেট |
গ্রিজ গান | মাপানুযায়ী |
মালামালের নাম | সংক্ষিপ্ত বিবরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
ওয়াস্ট কটন | মানসম্মত | ৫০০ গ্রাম |
অ্যামারি ক্লথ | ৬০, ৮০, ১২০ গ্রেডের | ৩ পিস |
গ্রিজগ্রিজ | সিনথেটিক | ২ পাউন্ড |
রাস্ট রিমুভার | ওয়্যার ব্রাশ | ১টি |
১. মালামালের তালিকা অনুযায়ী যন্ত্রপাতি, ইকুইপমেন্ট ও মালামাল সংগ্রহ করো।
২. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম সংগ্রহ ও পরিধান করো। ৩. প্রথমে গ্রিজ গান এ প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রিজ সংগ্রহ করো।
৪. ফিল প্লাগ এর আশেপাশে পরিষ্কার কাগড় দিয়ে ময়লা মুছে ফেল।
৫. ড্রেন প্লাগ এর নীচে কাপড় বিছিয়ে দাও যাতে ড্রেন প্লাগ হতে নির্গত ব্যবহৃত গ্রিজ ঐ কাপড়ের উপর পড়ে।
৬. ড্রেন প্লাগটি মটর বিয়ারিং হাউজিং হতে রেঞ্চ এর সাহাযে খুলে ফেল।
৭. এবার গ্রিজ গান এর এডাপটার অথবা গ্রিজ গান এর নির্গত পাইপটি ফিল প্লাগ এ স্থাপন করো।
৮. গ্রিজ গান এর হ্যান্ডেল চাপ দিয়ে ফিল প্লাগের মাধ্যমে মটরের বল বিয়ারিং এ গ্রিজ প্রবেশ করাও
ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না ড্রেন প্লাগ হতে ভিন্ন রংএর গ্রিজ বের হতে দেখা যায়।
৯. এভাবে গ্রিজ গান এর মাধ্যমে বল বিয়ারিং এ গ্রিজিং করা হয়।
১০. তারপর ড্রেন প্লাগ লাগিয়ে কার্য সম্পন্ন করা হয়।
কাজ করার সময় অব্যশই পিপিই (PPE) পরিধান করতে করা;
• সঠিকভাবে টুলসের ব্যবহার নিশ্চিত করা;
কাজের সময় অমনোযোগী না হওয়া;
• যদি বোঝতে সমস্যা হয় তবে শিক্ষক এর সহায়তা নিতে নেয়া;
• শিক্ষক এর অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো কাজ না করা ইত্যাদি।
কোনো ভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্রিজিং করা যাবে না। প্রয়োজনে প্রস্তুতকারক এর ম্যানুয়াল অনুযায়ী অথবা ছবি উল্লেখিত ডাটা অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর গ্রিজিং করা উচিত।
এই জব সম্পন্ন করে একটি ইলেট্রিক মটর অথবা যেকোনো গ্রিজিং ইকুপমেন্ট এর বল বিয়ারিং গ্রিজ করতে পারব। বিভিন্ন চার্ট দেখে কোন ধরনের মেটালের ইকুপমেন্ট এর জন্য কি ধরনের গ্রিজিং করা হয় তা করতে পারবে।
১. লুব্রিক্যান্ট বলতে কী বোঝায় ?
২. লুব্রিক্যান্টের শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ করো ?
৩. কুল্যান্ট বলতে কী বোঝায় ?
৪. কুল্যান্ট নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়সমূহ লেখ।
১. লুব্রিক্যান্টের প্রয়োগক্ষেত্র লেখ ।
২. কাটিং ফ্লুইও এর বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখ। ৩. কুল্যান্ট ব্যবহার এর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করো।
১. ভাল লুব্রিক্যান্ট এর বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ করো।
২. কুল্যান্ট ও লুব্রিক্যান্টের মধ্যে পার্থক্য লেখ।
৩. ধাতু ও অপারেশনভেদে কুল্যান্ট নির্বাচন বর্ণনা করো।
আরও দেখুন...